প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর শহরের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে, একইসাথে চলছে নান্দনিক কাজ
কাজের গুণগতমান ঠিক রাখতে মেয়র প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল দূরদর্শী চিন্তা মাথায় রেখে বাস্তবমুখী পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁর কাজগুলো করেন। যার প্রমাণ মেলে প্রথমে শহরের পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা, পাড়া-মহল্লার ভেতরে পাকা সড়ক করে দেয়া, নতুন পানির সংযোগ করে দেয়া এরপর শহরের প্রধান সড়কগুলোর সংস্কার করার কাজে হাত দেয়া। এই কাজগুলো তিনি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা অনুযায়ী করে থাকেন। যেনো রাস্তা মেরামতের পর ড্রেনের জন্য বা পানির লাইনের জন্য রাস্তা নষ্ট না করতে হয়, রাস্তা কাটাকাটি করতে না হয়। পাড়া-মহল্লার ছোটখাটো কাজগুলো করেই তিনি বড় কাজে হাত দেন। এর জন্যে কাজের স্থায়িত্বও হয়। এতে তিনি শহরবাসীর প্রশংসাও পাচ্ছেন।
|আরো খবর
দীর্ঘদিন চাঁদপুর শহরের সড়কগুলোর সংস্কার কাজ হয় নি। যার কারণে এবারের বর্ষায় শহরের সব রাস্তাই ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়ে যায়। শহরবাসীর ভোগান্তি চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে। কিন্তু অনবরত বৃষ্টির কারণে কিছুই করার ছিল না। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে বর্ষার মৌসুম শেষ না হলে রাস্তার কাজে হাত দেয়া যাবে না। তারপরও কিছু কিছু জায়গায় সাময়িক মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সেগুলোও টিকে নাই। সে সময় মেয়র কথা দিয়েছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের সকল রাস্তা কার্পেটিংসহ প্রয়োজনীয় মেরামত হয়ে যাবে। কথা অনুযায়ী মেয়র কাজ শুরু করে দিয়েছেন। বৃষ্টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরই গত মাস থেকে তিনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাস্তা প্রশস্তকরণসহ আধুনিক মানের ফুটপাত নির্মাণের কাজে হাত দেন। যেটি এখনো চলমান রয়েছে। যে দৃশ্য শহরের জোড়পুকুর পাড় এলাকায় গেলে দেখা যায়। এ এলাকায় রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত তো নির্মাণ করছেনই, সাথে এলাকার পুকুরটি ঘিরে পাড়কে নতুনভাবে দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলছেন। বড় বড় গাছের ছায়ায় ঘেরা এ স্থানটিতে মানুষ যেনো অবসরে এসে এখানকার চমৎকার পরিবেশে অবকাশ যাপন করতে পারে। জোড়পুকুর পাড় এলাকার চলমান কাজটি সম্পন্ন হলে শহরের অনেকটা নিরিবিলি ও গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকার দৃশ্য অসম্ভব রকমের সুন্দর দেখাবে। মানুষ এখানে বিকেলে অবসরে সময় কাটাতে ঘুরতে আসবে।
গত দুদিন আগে রাত থেকে শহরের রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ ধরা হয়েছে। গতকাল দুপুরে দেখা গেলো শপথ চত্বর এলাকা, ওয়ান মিনিট মোড় পর্যন্ত, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের হকার্স মার্কেটের সামনের অংশ রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ হয়ে গেছে। কাজ চলমান রয়েছে। যানজট এবং জনগণের ভোগান্তি যাতে না হয় সে জন্যে দিনের পরিবর্তে রাতে কাজ করা হচ্ছে। আর এই রাতের বেলায়ই সে কাজের কাছে গিয়ে কাজ তদারকি করেন মেয়র। মেযর জানান, ট্রাক রোডসহ শহরের সকল রাস্তা ডিসেম্বরের মধ্যে একেবারে শতভাগ কার্পেটিংসহ সংস্কারের কাজ শেষ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। আর কাজের গুণগতমানের ব্যাপারে কোনো ধরনের ছাড় নেই বলে জানালেন তিনি।
এদিকে শহরের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলমান অবস্থায় দেখা গেছে যে, মেয়র নিজে সেখানে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করেন। যার কারণে কাজের গুণগতমান ঠিক রাখার বিকল্প কিছু নেই। তিনি কাজের ধরন অনুযায়ী মান ঠিক রাখার ক্ষেত্রে কোনো আপস করেন না। এবার ঠিকদার তাঁর নিজের দলের হোক বা ঘনিষ্ঠ কেহ হোক।
শহরের রাস্তা প্রশস্তকরণ ও ফুটপাত নির্মাণসহ রাস্তা মেরামতের কাজে হাত দেয়ায় শহরবাসী মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। শহরবাসী বলছেন, মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তাঁর নির্বাচনী অঙ্গীকার বা ইশতেহার অনুযায়ী তিনি এখন এই শহরকে নান্দনিকভাবে গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছেন। যা এই পৌরসভার শত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম।