প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
২৬ অক্টোবর বেলা ১১টায় সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য খুব শীঘ্রই চালু হতে যাচ্ছে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা। এ লক্ষ্যে দূতাবাসে সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্যে ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। এতে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার অভিবাসীরা যোগ দেন।
সভায় রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রায় ২৮ লক্ষ অভিবাসী বাংলাদেশীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। ফলে প্রবাসীদের দেশে অনেক ধরনের সেবা প্রাপ্তিতে সমস্যায় পড়তে হয়। সৌদি প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ও জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে কারিগরি প্রক্রিয়া ও প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করেছে। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই সকল প্রবাসীকে জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, সকলের হাতে স্মার্টকার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) পৌঁছে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প। তাই সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে সৌদি আরবে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুযায়ী স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সরকার নির্মানে সবার স্মার্টকার্ড প্রদান জরুরী। সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তাঁদের সবাইকে স্মার্টকার্ড সেবা প্রদানে দূতাবাস প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম স্মার্ট কার্ড প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি প্রবাসীরা কিভাবে স্মার্টকার্ডের জন্য আবেদন করবে, ফরম পূরণ করে দূতাবাসে জমা দিবে তাঁর বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে বর্তমানে শুধুমাত্র নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে, সংশোধনের কাজ পর্যায়ক্রমে শুরু করা হবে।
সভায় নির্বাচন কমিশনের উপ-প্রকল্প পরিচালক মেজর মামুন-অর-রশিদ এনআইডি কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন থেকে আগত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশীর হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, যা বাংলাদেশ থেকে প্রস্তুত করে আনা হয়েছিল। এ সময় প্রবাসীরা দ্রুত স্মার্ট কার্ড প্রদানের দাবি জানান এবং দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রবাসীরা যাঁদের পাসপোর্টে বয়স বা নাম ভুল রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রে তা সঠিক করে দেয়ার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সফলতা কামনা করে ও দেশ জাতির সার্বিক মঙ্গল কামনা করে দোয়া করা হয়।