প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৭
ট্রাম্পের কঠোর পদক্ষেপ: জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল ও সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে, এই আদেশ আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে, কারণ জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে সুরক্ষিত।
|আরো খবর
জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের প্রেক্ষাপট ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প তার আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব প্রদান বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, "জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একেবারে হাস্যকর এবং এই বিধান বদলানোর জন্য ভালো আইনি যুক্তি রয়েছে।" সংবিধানে নিশ্চিত করা এই অধিকার বাতিলের চেষ্টা আইনি প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাইডেনের নির্বাহী আদেশ স্থগিত:আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া: প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প প্রথমেই প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জারী করা ৭৮টি নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেন। বাইডেন তার মেয়াদের শেষদিকে এসব আদেশ জারি করেছিলেন, যার মধ্যে কয়েকটি বাস্তবায়িত হয়নি।
মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি আরোপের অংশ হিসেবে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এই আদেশের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা এবং অনিয়মিত অভিবাসন ঠেকানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচি স্থগিত: ট্রাম্পের আরেক নির্বাহী আদেশে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এর ফলে বহু শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ হারাবেন।
আইনজীবীদের প্রতিক্রিয়া: ট্রাম্পের এসব আদেশ নিয়ে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ করে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত আদালতে গুরুতর আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে এই অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, যা পরিবর্তন করতে সাংবিধানিক সংশোধনী প্রয়োজন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে এবং আগামী দিনে রাজনৈতিক ও আইনি অঙ্গনে বড় ধরনের বিতর্ক সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ