প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:২০
কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান (১৭) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে শ্রীঘরে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত যুবক পৌরসভাধীন করইশ গ্রামের সিদ্দিক প্রধানীয়া বাড়ির আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার খালা বাদী হয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার নং-১৩।
|আরো খবর
ভুক্তভোগীর খালা জানান, কিশোরী গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার মা জীবিকার তাগিদে ঢাকায় বাস করেন। সে আমার বাড়িতে থেকে পার্লারের কাজে সহযোগিতা করে আসছিল। বখাটে যুবক মেহেদী হাসান বিভিন্ন সময় মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করতো। সোমবার বিকেলে (২০ জানুয়ারি ২০২৫) কিশোরী আত্মীয়ের বাড়ি দাওয়াতে যাওয়ার পথিমধ্যে মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত তিন যুবক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তাকে কচুয়া শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪র্থ তলার একটি কক্ষে আটক রেখে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে পুনরায় তাকে অটোরিকশায় করে করইশ বড় বাড়ির সামনে নিয়ে এলে মেয়েটির আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা তাকে উদ্ধার করে আমার কাছে পৌঁছে দেয়।
বিদ্যালয় চলাকালীন একাডেমিক ভবনের ৪র্থ তলায় কিশোরীকে এনে ধর্ষণ করার বিষয়ে হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সোমবার আমি অফিসের কাজে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ছিলাম। ধর্ষণের বিষয়ে আমার জানা নেই।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আব্দুল হালিম জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত-২০২০)-এর ৭/৯(১) রুজু করে আসামী মেহেদী হাসানকে চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষিতাকে চাঁদপুর জেলারেল হাসপাতালে ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।