সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আলহাজ্ব রেদওয়ান খান বোরহান।

২৩ অক্টোবর সোমবার চাঁদপুর পৌর ১৪নং ওয়ার্ডস্থ বাবুরহাট রমেশ চন্দ্র দের বাড়ি, চাঁদপুর পুরাণবাজার দাসপাড়া পূর্ব শ্রীরামদী শ্রী শ্রী শিব মন্দিরে পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনের সময় মন্দিরে উপস্থিত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এই চাঁদপুরের সন্তান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয়া শুভেচ্ছা ও প্রীতি জানাই। জাতির পিতার নেতৃত্বে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবধর্মের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় সোনার বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর যখন জন্ম হয়নি, যখন এ দেশটা ইংরেজদের শাসন শোষণে ছিল, তখন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভগবানের কাছে ও মুসলিমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছে যে, বাংলাদেশে এমন একজন মানুষ দাও যাতে তারা এমন শাসন আমল থেকে মুক্তি পায়। এরপরেই টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান সরকারের সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সঠিকভাবে ধর্মকর্ম পালন করতে পারেন। কারণ শেখ হাসিনার সরকার ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার। শেখ হাসিনার সরকার সকল ধর্মের নাগরিককে সমান সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রেখে গেছেন, যার দলিল হচ্ছে সংবিধান। সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মহীনতা নয়, সব ধর্মের মানুষ নিরাপদে নির্বিঘ্নে নিশ্চিন্তে উৎসবমুখর পরিবেশে ধর্ম পালন করবে এ অধিকার সংরক্ষিত আছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সঠিকভাবে ধর্মকর্ম পালন করতে পারেন। কারণ শেখ হাসিনার সরকার ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক সরকার। শেখ হাসিনার সরকার সকল ধর্মের নাগরিককে সমান সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, ধর্মণ্ডবর্ণ ভুলে আমরা বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

চাঁদপুরের বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শনকালে দলীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তার সাথে উপস্থিত ছিলেন।