বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। এ জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছিলেন। একাত্তরের পরাজিত শক্তি মনে করেছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে তাঁর স্বপ্নকে ধ্বংস করে দেয়া যাবে। কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। যার ফলে আজকে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ১৫ আগস্টের শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করে জাগরণ সৃষ্টি করেছি বলেই জাতির জনককে হত্যার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে আজকে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে তার অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনেও আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে সকল বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে এগিয়ে যাবো।

তিনি ১৫ আগস্ট বিকেলে চাঁদপুর শহরে তাঁর রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় (ভার্চুয়াল) প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জাতির ভবিষ্যতকে ধ্বংস করতেই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। এই দিনটি আমাদের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই কলঙ্ক আমরা মুছতে পারব কিনা জানি না। আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর সততা ও ত্যাগের শিক্ষা নিতে হবে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ ইউসুফ গাজীর সভাপতিত্বে এ শোক সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিৎ রায় চৌধুরী, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান।

আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শিপ্রা দাস, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি, জেলা শ্রমিকলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী ফরিদা ইলিয়াছ, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিমুল হাসান শামনু, তাজুল ইসলাম মিয়াজী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান কাউছার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল রানা (পৌর কাউন্সিলর), সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রবিন পাটওয়ারী প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

১৫ আগস্ট সকালে স্থানীয় এমপি ও শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনের সামনে দলীয় নেতা-কর্মীরা স্ব স্ব ব্যানার নিয়ে একত্রিত হয়। পরে এখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এরপর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাঁদপুর সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা শ্রমীক লীগ, জেলা কৃষক লীগ, পৌর কৃষক লীগ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, জেলা যুব মহিলা লীগ, জেলা যুবলীগ, সদর উপজেলা যুবলীগ, পৌর যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ, পৌর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

এদিন বাদ আছর চাঁদপুর ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদ ও চৌধুরী জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে নেতৃবৃন্দসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মুসল্লিদের মাঝে তবররুক বিতরণ করা হয়।