বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুরে ভারত থেকে আনা নিম্নমানের ৬৪৫ টন চাল গুদামে ঢুকেছে
মিজানুর রহমান ॥

ভারত থেকে নিম্নমানের চাল আমদানির অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যে পরিমাণ চাল অভিযোগ পাওয়ার আগে খালাস হয়েছিল সেখান থেকে ৬৪৫ মেট্রিক টন চাল চাঁদপুরের গুদামে ঢুকেছে। চাঁদপুর ছাড়াও আরো কয়েক জেলার খাদ্য গুদামে এমন চাল উঠেছে বলে জানা যায়। ভারত থেকে আমদানি করা ওই চাল নিম্নমানের নাকি খাবার উপযোগী এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু (ভারপ্রাপ্ত) জানান, চাঁদপুর জেলায় ৬৪৫ টন ওই চাল তারা পেয়েছেন। ৭ আগস্ট ৫০ কেজির ১২ হাজার ৯০০ বস্তা ইন্ডিয়ান চাল ট্রাকযোগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চাঁদপুরের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ঢুকানো হয়।

তিনি বলেন, চাঁদপুর সিএসডিতে ৪০০ টনের মধ্যে ৩১৫ টন, হাজীগঞ্জে ৪০০ টনের মধ্য ২২৫ টন, ফরিদগঞ্জে ১০০ টনের মধ্য ১৫ টন ও মতলব নায়েরগাঁও এলএসডিতে ১০০টনের মধ্যে ১৫ টন ঢুকেছে। কিন্তু এর ভেতর কোনো খারাপ চাল পাওয়া যায়নি। তারা আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছেন।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের এসি জেটি আগেই আমাদের জানিয়েছিলেন, যদি খারাপ চাল যায়, সেগুলো আলাদা করে যাতে রাখা হয়। নির্দেশনা ছিল খারাপ বস্তা পাওয়া গেলে আলাদা করে রাখার পরে সেগুলো ফেরত নিবে। এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ চাল আমরা পাইনি।

চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুলাই ভারত থেকে ১৯ হাজার ২০০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি ড্রাগন’ নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ওই চাল সরবরাহ করেছে ভারতের ‘ট্রিটন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাল খালাসের নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। ১ আগস্ট খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি (একজন সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় গুণগত মান ভালো ও খাওয়ার উপযোগী বলে প্রতিবেদন দেয়ার পর খালাস প্রক্রিয়া চলে। ৩ আগস্ট জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন চাল খালাস হয়। ইতোমধ্যে খালাস হওয়া ওই চালের ট্রাক চাঁদপুরের সিএসডিসহ দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে গেছে। এখন জনমনে প্রশ্ন, চাঁদপুরে যে পরিমাণ চাল ঢুকেছে তা নিম্নমানের কিনা।

বন্দরে খালাসের সময় দেখা যায়, আমদানি করা বেশির ভাগ চাল লালচে ও ঘোলা। এছাড়া কিছু কিছু চাল এতোটাই নিম্নমানের, যা খাওয়ার অনুপযোগী। এ কারণে বাদবাকি চাল জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ করে দিয়ে জাহাজটি ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়