প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
কচুয়া থানা এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি ও চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গরু বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন কচুয়া থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন। ১০ আগস্ট মঙ্গলবারের এ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ১ আগস্ট রোববার পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী তুলপাই গ্রামের আলমগীর হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে ২টি ও ৮ আগস্ট রোববার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের মোঃ সেলিমের গোয়াল ঘর থেকে ৪টি গরু রাতের অন্ধকারে চোর চক্র চুরি করে নিয়ে যায়। তাছাড়া ৫ আগস্ট রাত ৩টার সময় পাশর্^বর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা তালুকদার বাড়িতে গরু চুরি করতে গেলে মতলব দক্ষিণ ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের মোঃ শরিফসহ ৪ চোরকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।
আটককৃত শরীফ বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা জবান বন্দিতে জানায়, হাজীগঞ্জ উপজেলার এরশাদ, কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের আঃ হামিদের ছেলে রাসল মিয়া (৩৮), তেতৈয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির লিটনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র কচুয়া ও হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে গরু চুরি করে। এ ঘটনার পর কচুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ আগস্ট কচুয়ার বিতারা গ্রামের রাসেল ও ৮ আগস্ট তেতৈয়া গ্রামের লিটনকে গ্রেফতার করে ৯ আগস্ট সোমবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি আরো উল্লেখ করেন, বিতারা গ্রামের রাসেল অন্যান্য আসামীকে সাথে নিয়ে গরু চুরি করে পিকআপ দিয়ে অন্যান্য গরু চোরদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। কচুয়া ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সক্রিয় সদস্য কচুয়া থানার বিতারা ইউনিয়নের রাসেল মিয়া, তেতৈয়া গ্রামের লিটন, হাজীগঞ্জের এরশাদ জাহাঙ্গীর, শাকিব, মতলব দক্ষিণের শরীফ, চান্দিনা উপজেলার সজিবসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে। গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য চোরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।