প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
এতো মৃত্যু!
পাঁচদিনে হাসপাতালেই মারা গেলো ৬০
মৃত্যু আর মৃত্যু। প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টায় গড়ে একজন করে মারা যাচ্ছেন। চোখের সামনে খুব অল্প সময়ে প্রিয় মানুষটির মৃত্যু দেখছেন। হাসপাতালে আনছেন আর মারা যাচ্ছেন। অনেকে বাড়িতেই মারা যাচ্ছেন। চাঁদপুরে এমন লাগাতার মৃত্যু অতীতে কেউ দেখেনি। একদিনে ১৪ জন, ১৩ জন, ১২ জন, ১১ জনের মৃত্যু। এমন মৃত্যুর সংবাদ এখন প্রতিদিনকার। গত ২৪ ঘণ্টায়ও ১২ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানালো চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল তথা সরকারি হিসেবেই গত পাঁচদিনে (১ আগস্ট থেকে ৫ আগস্ট) চাঁদপুর জেলায় কমপক্ষে ৬০ জন মারা গেছেন। যাদের নাম-ঠিকানাসহ মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। এই হিসেবের বাইরেও আরো মৃত্যু আছে, যা সরকারি হিসেবে যোগ হচ্ছে না। বাড়িতে মৃত্যু, ঢাকা নেয়ার পথে মৃত্যু, হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু। এতোসব মৃত্যু গোটা চাঁদপুরকে শোকাচ্ছন্ন করে ফেলেছে। জেলা সরকারি জেনারেল হাসপাতালটি যেনো এখন মৃত্যুপুরী। যে হাসপাতাল থেকে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ জনের লাশ বহন করে নিতে হয়, সে হাসপাতালটির অবস্থা কতটুকু ভারাক্রান্ত তা হাসপাতাল-সংশ্লিষ্টরাই বলতে পারবে।
|আরো খবর
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জানা গেলো, বুধবার দুপুর ২টা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ১২ জন মারা গেছেন। এর আগের দিন মারা গেছেন ১৪ জন, এর আগের দিন ১১ জন, তারও আগের দিন ১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে তিনজন ছিলেন করোনা পজিটিভ রোগী। বাকি নয়জন ছিলেন করোনা সাসপেক্টেড। এরা হচ্ছেন : মতলব দক্ষিণ উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়া (৭৫), কচুয়ার মধুপুর গ্রামের রাফিজা (৪০), লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার শেফালীপাড়া রাঘরপুর গ্রামের রাহিমা (৭৫), মতলব উত্তরের মান্দারতলি রাঢ়িকান্দি গ্রামের সেলিনা বেগম (৫৫), ফরিদগঞ্জের গাজীপুর উমরখালী গ্রামের জাহানারা বেগম (৬০), একই উপজেলার ধানুয়ারপাড় উত্তর চাঁদপুর গ্রামের যোগমায়া (৭০), চাঁদপুর সদর উপজেলার বাবুরহাট তরপুরচ-ী গ্রামের রওশন আরা (৫০), মতলব উত্তরের নলুয়া গ্রামের তাছমিয়া (৪৫), মতলব দক্ষিণের কলাদি গ্রামের মাজেদা বেগম (৫০), চাঁদপুর সদর উপজেলার আশিকাটি ইউনিয়নের পাইকাস্তা গ্রামের বাদশা গাজী (৭০), একই উপজেলার সকদী পাঁচগাঁও গ্রামের আবুল কাশেম (৭৫) এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর চরপাড়া গ্রামের রোকেয়া বেগম (৬৬)। এদের মধ্যে বাচ্চু মিয়া, রাফিজা ও রাহিমার করোনা পজিটিভ ছিলো। অন্যরা ছিলেন করোনা সাসপেক্টেড তথা করোনার উপসর্গে আক্রান্ত।