বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ড. শামসুল আলমের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ
রাসেল হাসান ॥

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান দেশের প্রখ্যাত কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. শামসুল আলম। সংসদ সদস্য না হওয়ায় তিনি মন্ত্রিসভায় টেকনোক্রেট হিসেবে জায়গা পাচ্ছেন। গতকাল রোববার ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ড. শামসুল আলমকে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান।

সরকারের কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী শপথ নিলে সেই অনুষ্ঠানে সরকার প্রধানের উপস্থিত থাকার রেওয়াজ রয়েছে। তবে রোববারের শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন না। মহামারীকালে গত নভেম্বর মাসে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের শপথেও ছিলেন না সরকার প্রধান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের পরিচালনায় বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠতম সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

২০২১ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত ড. শামসুল আলমের চাকরির মেয়াদ বাড়িয়েছিল সরকার। ড. আলম ২০০৯ সালে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। গত ১২ বছর ধরে জিইডি সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

ড. শামসুল আলমের হাত ধরে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনা। যেগুলো এখন চলমান। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক ও সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে তাঁর হাত ধরে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের আলোকে দ্বিতীয় দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্র (২০০৯-১১) সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস করে ‘দিনবদলের পদক্ষেপ’ ২০১১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।

রূপকল্প ২০২১-এর আলোকে বাংলাদেশের প্রথম পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২০২১) তৈরি করে জিইডি। এছাড়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন কৌশলপত্র, সামাজিক সুরক্ষা কৌশলপত্র প্রণীত হয়েছে তাঁর সময়ে। বর্তমানে ১০০ বছরের বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শেষের পথে। এগুলোর বাইরে তাঁর দায়িত্ব পালনকালে এমডিজি অর্জন বিষয়ক ১৫টি গ্রন্থ, তাঁর তত্ত্বাবধান ও সম্পাদনায় ৬৩টি মূল্যায়ন প্রতিবেদন, অধ্যয়ন ও গবেষণাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

শপথ নেওয়া পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. শামসুল আলম দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে জিইডিতে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন সেটি আমি সুচারুভাবে পালন করেছি। এখন যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে নতুন দায়িত্ব দিচ্ছেন সেটিও যথাযথভাবে পালন করবো। আগামীর পথ চলায় আমি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কমানা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়