প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জে পর্যাপ্ত কোরবানি পশুর আমদানি হয়েছে, কিন্তু দাম হাঁকা হচ্ছে আকাশছোঁয়া। দাম যতই হোক না কেনো বাজারে কিংবা গৃহস্থের কাছে এবার প্রচুর গরু রয়েছে। মূলত দাম বেশি হাঁকানোর কারণে এখনো জমেনি কোরবানি গরু-ছাগলের বাজার। গরু কিনতে এসে ক্রেতারা বাজারের হালহাকিকত বুঝার চেষ্টা করছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলার প্রসিদ্ধ গরুর বাজার হাজীগঞ্জর বাকিলা বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাকিলা বাজার ঘুরে গেছে, বছরের অন্য সময় যে গরুর দাম ১ লাখ টাকা, সেই গরুর দাম এখন হাঁকা হচ্ছে দেড় লাখ কিংবা তারও বেশি। ১৫ কেজি একটি দেশি খাসির দাম হাঁকা হচ্ছে ২২/২৫ হাজার টাকা। অন্য সময় এই ওজনের খাসি ১২/১৩ হাজার টাকায় পাওয়া যায়।
বাকিলা বাজারে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কোরবানি পশুর বিক্রি চলমান থাকলেও উপজেলার বেশ কিছু বাজারে যেমন হাজীগঞ্জ বাজার, রামপুর বাজার, চেঙ্গাতলী বাজার, বেলচোঁ বাজারে কোরবানি উপলক্ষে অস্থায়ী পশুর হাট বসতে শুরু করেছে। অবশ্য এ বাজারগুলো কোরবানি ঈদ উপলক্ষে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইজারা দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর এলাকা থেকে বাকিলায় গরু কিনতে আসা শুকু মিয়া বলেন, গরুর দাম যেভাবে চাওয়া হচ্ছে তাতে মাথা ঘুরে যাওয়ার মতো আবস্থা। দাম আর মালে না মিললে আজ গরু কিনবো না।
বাকিলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক হাওলাদার বলেন, আজ বাকিলায় প্রচুর গরু উঠেছে। তবে বিক্রি একেবারে কম হচ্ছে। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে গরুর বাজারের অবস্থা মূল্যায়ন করছে।
বাকিলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম পাটোয়ারী বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। বেপারী বা খুচরা গরু বিক্রেতারা গরুর চাম বেশ চওড়া হাঁকাচ্ছে। তবে বাজারে প্রচুর গরু আছে, দাম কমবে।