প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জে ঘুরতে এসে ধর্ষিত হওয়া সেই নারী শেষ পর্যন্ত মামলা করবে না বলে পুলিশকে জানিয়েছিলো। কিন্তু ততোক্ষণে পুলিশ মামলা রেকর্ড করেছে ও দুই আসামীকে আটক করেছে। ঘটনাটি চলিত বছরের ২২ মের। হাজীগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের হয় ২৪ মে। ঐ নারী (২০)-এর বাড়ি ফরিগগঞ্জে। ঘটনার তিনি একা হাজীগঞ্জের ‘নদী বাড়ি’ নামে একটি ক্যাফেতে ঘুরতে আসে ধর্ষণের শিকার হন।
পুলিশ জানায়, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারী ঘটনার দিন বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারের দক্ষিণ পাশে তথা ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ‘নদী বাড়ি’ নামের ক্যাফেতে ঘুরতে আসেন। এখানে এই নারীর সাথে পরিচয় হয় উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামের দুলাল মিজির ছেলে শাকিল হোসেন (২৪)-এর। শাকিলের সাথে কথা বলতে বলতে সন্ধ্যা নামে। এর পরেই শাকিল ফোন করে তার ৩ বন্ধুকে ক্যাফে এলাকায় নিয়ে আসে। ইতিমধ্যে রাত প্রায় ৯টা বাজে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্যাফের অনতিদূরে একটি বালুর মাঠে নিয়ে শাকিলের বন্ধু মহিন উদ্দিন ও ইসমাইল নারীটিকে ধর্ষণ করে। পরে তাকে বুঝিয়ে শাকিল তার খালার বাড়ি বড়কুল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শাকিলের অপর বন্ধু কালু আরেক দফা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এরপর সেই রাতে নারীটিকে ধর্ষক চক্রটি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশ্যে উঠিয়ে দেয়। অটোরিকশায় বসে নারীটির কান্না দেখে চালক কারণ জিজ্ঞেস করলে ঘটনা খুলে বলে। অটোরিকশার চালক হাজীগঞ্জ থানা পুলিশকে ঘটনা জানালে পুলিশ রাতেই নারীটিকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনার পরদিন সকালে এই নারী শাকিলসহ ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। একই দিন পুলিশ অভিযান চালিয়ে শাকিলসহ প্রতিবেশী মান্নানের ছেলে মহিনউদ্দিন (২৬) কে আটক করে। এর ক’দিন পর একই মামলার আরেক আসামী হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের সোহেলকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ইব্রাহিম খলিল জানান, এ নারী একটা সময় মামলা করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু ততক্ষণে আমরা মামলা রেকর্ডভুক্ত করে ফেলেছি।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ৩ আসামীকে আটক করেছি, তারা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, উক্ত নারী ধর্ষণের ঘটনায় যে সিএনজি অটোরিকশা চালক আমাদেরকে খবর দিয়েছে, সেই চালককে আমাদের হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ পিপিএম স্যার পুরস্কৃত করেছেন।