বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০

ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেনের দৃষ্টান্ত
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল হোসেন নিজ কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের জন্যে। লকডাউনের ১৪ দিনে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২শ’ ২৭টি মামলা পরিচালনা করেছেন। করোনা মহামারীতে প্রতিদিন তিনি হাজীগঞ্জে একেবারে অঁজোপাড়াগায়ের হাট-বাজারগুলো পর্যন্ত চষে বেড়িয়েছেন। এতোগুলো মামলা পরিচালনা করাকালে কোথাও কোনো লাঠিচার্জ কিংবা কাউকে আটক করতে হয়নি। আদালত চলাকালে তিনি বিজিবির সহায়তা নেন। তিনি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কঠোর লকডাউন চলাকালে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলা শহরসহ বাকিলা, বলাখাল, রামপুর, রাজারগাঁও, হাজীগঞ্জ, বেলচোঁ ও কৈয়ারপুল বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। সকাল, দুপুর, বিকেল কিংবা রাতে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে উজ্জ্বল হোসেনকে। মূলত করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে মাস্কের ব্যবহারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন সব ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান সরকারি আইন না মানার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিনি। লকডাউন চলাকালে ২শ’ ২৭টি মামলায় ২শ’ ২৭ জনকে মোট ২ লাখ ১৯ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আদায় করেন এই কর্মকর্তা। যা সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে। আদালত চলাকালে স্থানীয়দের করোনা সম্পর্কে সচেতন করতে দেখা গেছে এই ম্যাজিস্ট্রেটকে।

এক প্রশ্নের জবাবে উজ্জ্বল হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, এটা আমার কাজের অংশ। জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে জনগণের মাঝে ব্যাপকভাবে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে আমরা কাজ করছি। তারই ধারাবাহিকতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলো পরিচালনা করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়