প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
অবশেষে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। ১৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল মিটিং শেষে এ ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। প্রতি গ্রুপের নির্ধারিত তিনটি বিষয়ে নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) মূল্যায়নের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা এ বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এবং একই প্রক্রিয়ায় এইচএসসি ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, আমরা দেখেছি গতবার সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের দিকে সংক্রমণ অনেকটা কমে গিয়েছিল। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ব্যাপক সংখ্যক জনগোষ্ঠীর মধ্যে টিকা দেয়া সম্ভব হবে। গতবারের অভিজ্ঞতায় নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ কমে আসলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শুধু নৈর্ব্যক্তিক আঙ্গিকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। যদি পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে পূর্ববর্তী জেএসসি/জেডিসি-এসএসসির ভিত্তিতে এবং অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে এসএসসি-এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ঈদুল আযহার পর পর এইচএসসির ফরম পূরণ অনলাইনে শুরু হবে। কোনো শিক্ষার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হবে না। অল্প বিষয়ে পরীক্ষা নেয়া হবে, তাই ফিও কম নেয়া হবে। এ বিষয়ে বোর্ড থেকে নির্দেশনা জারি করা হবে।
এদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে জাতীয় পরীক্ষা পরামর্শক কমিটি তিনটি প্রস্তাবনা দেন। প্রস্তাবনার আলোকে সিদ্ধান্ত তিনটি হলো : রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে কেবল মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চেন (এমসিকিউ) পরীক্ষা নেয়া। বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেয়া। এ ক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুই পত্র একীভূত করা। এই দুই প্রস্তাবে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাকটিভিটিসের নম্বর সমন্বয় করে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে। এইচএসসির ক্ষেত্রে এসএসসির, জেএসসি এবং অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর সমন্বয় করে ফল প্রকাশ হতে পারে।
এর মধ্যে ভার্চুয়াল সভায় প্রথম ও তৃতীয় প্রস্তাবনার পক্ষে মত দেন সরকারের শিক্ষা বিভাগীয় উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাগণ।