বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২২, ০০:০০

আজ পবিত্র শবে বরাত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

আজ দিবাগত রাত হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। যাকে ভাগ্যরজনী, মুক্তির রজনী ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়। তাৎপর্যপূর্ণ এ রাতে বিশেষ বরকত হাসিলের মানসে মুসলিম উম্মাহ রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী, জিকির-আজকার, মিলাদ-ক্বিয়াম, দোয়া-মাহফিল, নফল নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল থাকেন। আর পরবর্তী দিন রোজা রাখেন। কেউ কেউ দুটি বা তিনটি নফল রোজা পালন করেন।

শবে বরাতকে ‘লাইলাতুল বারাআত’ নামেও অভিহিত করা হয়। শাবান মাসের মধ্যবর্তী তথা ১৪ শাবান দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়। হাদীস শরীফে একে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ বা মধ্য শাবানের রাত্রি নামে অভিহিত করা হয়েছে। আর মাত্র পক্ষকাল পরেই আসবে মাহে রমজান। লাইলাতুল বারাআত মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার প্রশিক্ষণের পূর্ব প্রস্তুতিস্বরূপ। এজন্যে একে বলা হয় রমজানের মুয়াজ্জিন বা আহ্বানকারী। মূলত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে এ রাতটি শবে বরাত হিসেবে পরিচিত। আরববাসীরা এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফে মিন শাবান’ বলেন।

হাদীসে বর্ণিত আছে, ১৪ শাবান দিনের সূর্য অস্তমিত হওয়ার পরক্ষণ থেকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নূরের তাজাল্লি পৃথিবীর কাছাকাছি আসমানে প্রকাশ পায়। তখন আল্লাহ পাক বলতে থাকেন, আছে কি কেউ ক্ষমাপ্রার্থী, যাকে আমি ক্ষমা করবো, আছে কি কেউ রিজিকপ্রার্থী, যাকে আমি রিজিক প্রদান করবো, আছে কি কেউ বিপদগ্রস্ত, যাকে আমি বিপদমুক্ত করবো। আল্লাহপাকের মহান দরবার থেকে প্রদত্ত এ আহ্বান অব্যাহত থাকে ফজর পর্যন্ত। বস্তুত শবে বরাত হলো, আল্লাহপাকের মহান দরবারে ক্ষমা প্রার্থনার বিশেষ সময়। আল্লাহপাকের নৈকট্য ও সান্নিধ্য লাভের এক দুর্লভ সুযোগ এনে দেয় এ পবিত্র শবে বরাত।

অতএব, প্রতিটি কল্যাণকামী মানুষের প্রধানতম কর্তব্য হলো, এ সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করা, আল্লাহপাকের ইবাদত-বন্দেগিতে পূর্ণ রাত অতিবাহিত করা, সাধ্যমত দান-খয়রাত করা। হাদীস শরীফে আছে যে, রাসুল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোজা রাখবে তাকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়