সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

২৯ ডিসেম্বরের সমাবেশ স্থগিত ॥ অনুমতি দেয়নি প্রশাসন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলায় সমাবেশ হওয়ার নির্দেশনা ছিলো। জেলা বিএনপি নির্ধারিত সমাবেশটি আয়োজনের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু অনিবার্য কারণে সমাবেশটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবিতে বিএনপি প্রত্যেক জেলায় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করে। সে মোতাবেক ২৯ ডিসেম্বর বুধবার বিকেল ৩টায় চাঁদপুরে সমাবেশ হওয়ার কথা ছিলো। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলো বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। চাঁদপুর জেলা বিএনপি উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে বিবৃতি দিয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডঃ সলিম উল্যা সেলিম বলেন, সমাবেশের জন্যে চাঁদপুর প্রশাসনের নিকট চাঁদপুর হাসান আলী হাই স্কুল মাঠÑ অথবা চাঁদপুর ঈদগাঁ মাঠ অথবা চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার মাঠ অথবা বাবুরহাট হাইস্কুল মাঠ এই ৪টি স্থানের মধ্যে যে কোনো একটি স্থান বরাদ্দের জন্য লিখিত দরখাস্ত করা হয়। এক পর্যায়ে চাঁদপুর প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা টেলিফোনে আমাদেরকে জানান যে, সমাবেশের অনুমতি দেয়া যাবে না। সারাদেশের বহু জেলায় ইতিমধ্যে বিশাল বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু চাঁদপুর প্রশাসন সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে আমাদেরকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। আমরা প্রশাসনের এমন অগণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। বাংলাদেশের অন্য জেলায় যেভাবে সমাবেশ হয়েছে ঠিক সেভাবেই আমরা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে উক্ত সমাবেশ অনুষ্ঠানের জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা আশা করছি প্রশাসন আমাদেরকে বঞ্চিত না করে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, এদিকে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। আমরা গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ২৯ ডিসেম্বর সমাবেশের বিষয়ে জরুরি সভায় মিলিত হই। সমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের সমাবেশের অনুমতি না দেয়াকে নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ রাজনীতির প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা হিসেবে বিবেচনা করছে।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতে স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাবেশ অবশ্যই করবো এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সবাইকে কঠিনভাবে প্রস্তুত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে তিনি ২৯ ডিসেম্বরের সমাবেশটি স্থগিত করেন।

উল্লেখ্য যে, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সংগ্রামী আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হওয়ায় উভয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে চাঁদপুর জেলা বিএনপি সমগ্র জেলায় ১১ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ওই ১১ দিনের কর্মসূচির মধ্যে চাঁদপুুর জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা বিএনপি এবং সকল পৌর বিএনপি, প্রতিটি জেলা অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনকে দলীয় কার্যালয়ে পৃথক পৃথক দিনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়