সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

বন্ধ করা হয়েছে পরীক্ষা, ফেরত দিতে হবে ফি
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে হাজীগঞ্জের যে কটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল সেই কয়টি বিদ্যালয়ের শেষদিনের (রোববার ১২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। আর এ পরীক্ষা নেয়ার জন্যে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে ‘ফি’ নিয়েছে তা ফেরত দেয়াসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ শো-কোজের আওতায় আসছেন। চাঁদপুর কণ্ঠকে এটি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু সাইদ চৌধুরী। গত রোববার দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে সচিত্র প্রতিবেদন ‘সরকারি নির্দেশ অমান্য, হাজীগঞ্জে সপ্রাবিতে ‘ফি‘ আদায়ের মাধ্যমে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নেয়।

উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) মহামারীর কারণে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী (বার্ষিক) পরীক্ষা বাতিল করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রাণালয়। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়ার্ক শিটসহ (বাড়ির কাজ) বা অ্যাসাইনমেন্টের মতো কিছু পদক্ষেপের মাধ্যমে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত করার জন্যে এই মূল্যায়ন করবে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এমন বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুব রহমান তুহিন।

খোদ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা উপেক্ষা করে হাজীগঞ্জের ভাটরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিলাচোঁ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাপাইকাপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহগ তৎসংলগ্ল কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বার্ষিক পরীক্ষার আয়োজন করে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বিষয় পরীক্ষা নেয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সরজমিন প্রতিবেদন করে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ। গত ১১ ডিসেম্বর শনিবার চিলাচোঁ সরকারি প্রাথমিক ও ভাটোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বার্ষিক পরীক্ষা চলছে। এদিন প্রথম শ্রেণির বাংলা ও পরবর্তী সকল শ্রেণির গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১২ ডিসেম্বর রোববার পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিলো। উক্ত পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ২০ টাকা, দ্বিতীয় শ্রেণির জনপ্রতি ৩০ টাকা, তৃতীয় শ্রেণির জনপ্রতি ৪০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণির জনপ্রতি ৫০ টাকা এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জনপ্রতি ৬০ টাকা করে পরীক্ষার ফি নিয়েছে বিদ্যালয়গুলো। তবে বিদ্যালয় থেকে কাগজ ও প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদেরকে। বিষয়টি শ্রেণী কক্ষে সহকারী শিক্ষকের সামনে নিশ্চিত করেছে শিক্ষার্থীরা।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবু সাইদ চৌধুরী রোববার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষা চলছিলো আমরা এমন খবর পেয়ে তাদের পরীক্ষাগুলো (রোববার) বন্ধ করে দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যালয়গুলো যে ফি নিয়েছে তা অবশ্যই ফেরত দিতে হবে আর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে শো-কোজ করার প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়