পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, জনগণের ভরসার এখনো শেষ ঠিকানা গণমাধ্যম। এটা জাতির জন্য আয়নাস্বরূপ। যে আয়নায় ভেসে উঠে জাতির ও দেশের প্রতিচ্ছবি।

গত ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার চাঁদপুর জেলা শহর থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর’ পত্রিকার সৌজন্য কপি হাতে পেয়ে তিনি এসব কথা বলেন। পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বোরহান উদ্দিন ডালিম তাঁর হাতে এ কপি তুলে দেন।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক সমাজে গণমাধ্যম নাগরিকের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা রাখে, তথ্য জগতে তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করে। মানুষ জানতে চায়, মানুষ সমাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায়। আর সেখানেই গণমাধ্যমের ভূমিকা। নীতিনির্ধারক, আইন সভাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ঘটাতে ভূমিকা রাখে গণমাধ্যম। গণমাধ্যমে প্রতিফলিত হয় দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। স্বাধীনতার আগে এবং পরে বাংলাদেশের গণমাধ্যম মানুষের প্রতিটি গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সঙ্গে থেকেছে। বাংলাদেশে গণমাধ্যম নানা ঐতিহাসিক ঘটনায়, মানুষের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থেকেছে। দুর্নীতি, সহিংসতার ইস্যুকে অনেক সময় গণমাধ্যমই সবার আগে মানুষের কাছে নিয়ে আসতে পেরেছে। পাঠক-দর্শক-শ্রোতার চাহিদা পূরণে সাংবাদিকতা এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তিনি ‘দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর’ চাঁদপুরবাসীর মুখপত্র হবে এমনটাই দাবি করেন।

সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডঃ নুরুল আমিন রুহুল, সেতু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম লস্কর ও ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার।