সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

যুবলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ॥ পুলিশের ওপর হামলা
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের উপরও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনার ছবি তুলতে নেয়ায় সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে স্থিরচিত্র এবং ভিডিও ডিলিট করে দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে প্রায় ১০ জনের মতো আহত হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এমন চারজনের নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটে গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনের সড়কে।

দীর্ঘ বছর পর চাঁদপুর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা হয়েছে গতকাল ১১ ডিসেম্বর শনিবার। জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভার সময় দুপুর ২টা দেয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিকেল সাড়ে তিনটার পর। তবে দুপুর থেকেই চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। তারা যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কিছু নেতার নামে শ্লোগান দিতে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ মোঃ মোতালেব। তাদের অনুসারী নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে শহরের জোড় পুকুরপাড় এলাকা, কালীবাড়ি এলাকায় এসে জড়ো হয়। আবার অনেকে সার্কিট হাউজ এলাকায় বিশাল শোডাউন করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে নিজেদের অবস্থান দেখানোর চেষ্টা করেন। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে যেনো আজ জেলা যুবলীগের সম্মেলন এবং কমিটি ঘোষণা করা হবে। এভাবেই চলতে থাকে দুপুরের পর থেকে। বিকেল সাড়ে তিনটার পর কেন্দ্রীয় নেতারা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে বর্ধিত সভায় উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে সভা শুরু হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বর্ধিত সভা চলাকালে বিকেল প্রায় সাড়ে চারটার দিকে শিল্পকলা একাডেমির সামনের রাস্তায় পূর্ব অংশে হুমায়ুন কবির সুমন এবং পশ্চিম অংশে মোহাম্মদ আলী মাঝির কর্মী-সমর্থকরা অবস্থান নিয়ে এই দুই নেতার নামে শ্লোগান দিতে থাকে। শ্লোগান মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। হঠাৎ দেখা গেলো দুই গ্রুপের তথা সুমন ও মাঝি গ্রুপের কয়েকজন কর্মীর মাঝে হাতাহাতি। হাতাহাতি মারামারির পর্যায়ে চলে যায়। দুই নেতার সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তারা প্ল্যাকার্ড বানানো কাঠ দিয়ে ধাওয়া করতে থাকে এবং একে অপরকে আঘাত করে। এ সময় শিল্পকলার সামনে থাকা পুলিশ সদস্যরা নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় সেখানকার সকল দোকান ও মার্কেট বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে সংঘর্ষের সময় কে বা কারা পুলিশের উপর প্ল্যাকার্ডের কাঠ নিক্ষেপ করে। তখন একটি কাঠ একজন পুলিশের মাথার উপর গিয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ অ্যাকশনে যায়। পুলিশ তখন লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ধাওয়া করে শিল্পকলা একাডেমির সামনে থেকে সরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ঘণ্টাখানেকেরও সময় বেশি সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করে।

সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় একজন সাংবাদিক মুঠোফোনে এসব ঘটনার ছবি তুলতে নিলে যুবলীগের কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মী এসে ওই সাংবাদিকের হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে সব ছবি ডিলেট করে দেয়।

সংঘর্ষে আহত হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী বিটি রোড এলাকার দেলোয়ার হোসেন (৪০), খলিশাডুলি এলাকার বজু গাজী (৩৯), প্রফেসর পাড়ার আমিনুল ইসলাম (৫২) ও পুরানবাজার এলাকার মোঃ মাসুম (২৪)। এদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ফেটে যায়। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়