প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশারের মাতামহ (নানা) আলহাজ সিরাজুল ইসলামের ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১১ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে পারিবারিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মরহুম মোঃ সিরাজুল ইসলাম তাঁর সুবিশাল কর্মযজ্ঞ, যশ ও খ্যাতিতে বিগত বিংশ শতাব্দীতে চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্যতম। তিনি ১৯০১ সালের ২ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১৫ সালে বাবুরহাট হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯১৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের হুগলিতে শিক্ষকতা করেন। ১৯২৩ সালে ঢাকা হাইকোর্টের অধীনে মোক্তারশীপ পাস করে চাঁদপুরের মোক্তার বারে যোগদান করেন এবং কয়েক দফা মোক্তার বারের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩০ সাল থেকে কয়েক বছর তিনি চাঁদপুর মহকুমা মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া সিরাজুল ইসলাম চাঁদপুর মহকুমার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদেরও সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতি ছিলেন।
সিরাজুল ইসলাম ১৯৩৫ সালে মহকুমা হোমগার্ড সেবামূলক প্রতিষ্ঠান প্রচলন করেন এবং আমৃত্যু চাঁদপুর মহকুমা আনসার কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত তিনি মহকুমা অনারারি রিক্রুটিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন। তাঁর সেবামূলক কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৪৩ সালে তৎকালীন বৃটিশ সরকার 'খান সাহেব' উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৪৪ সাল থেকে বেশ ক'বছর তিনি চাঁদপুর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এমনকি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৪৬-১৯৪৭ সালে চাঁদপুরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামার সময় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। ১৯৪৯ সালে হজ্বব্রত পালনে হিজবুল বাহার স্টিমারে ২২শ' হজ্বযাত্রীর আমির হিসেবে 'আমিরুল হজ্ব' খেতাব পান। ১৯৫৮ সাল থেকে কয়েক দফা চাঁদপুর পৌরসভার এসেসর ছিলেন। ১৯৬০ সালে তিনি চাঁদপুর কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ নামক একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন আইনজ্ঞ হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেন। তিনি ১৯২৪ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলার হামানকর্দ্দি গ্রামে সম্ভ্রান্ত খান পরিবারে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি ৫ কন্যা ও ৩ ছেলের জনক। ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে অলিপুর গ্রামে নিজের গড়া মসজিদের পাশে সমাধিস্থ করা হয়।