সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে এবারো দলীয় প্রতীকের চেয়ে প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতাই প্রাধান্য পাবে
এমকে মানিক পাঠান ॥

ফরিদগঞ্জের ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক প্রাপ্তরা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকলেও বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আছেন স্বস্তিতে। বিএনপি দলীয় প্রতীক না দেয়ার সিদ্ধান্তে প্রার্থীদের মধ্যে এলাকায় তাদের নির্বাচনী প্রচার নিয়ে চলছে নানা তৎপরতা। নৌকা প্রতীক বরাদ্দ হলেও বিএনপির প্রার্থীরা বসে নেই।

এবারের নির্বাচনে জমজমাট প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে জানিয়েছে নেতা-কর্মীরা। বিশেষ করে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নিজ ইউনিয়ন ২নং বালিথুবা (পূর্ব) ও সাবেক এমপি ড. মোহম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়ার নিজ ইউনিয়ন ১৬নং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নে নির্বাচনের উত্তাপ থাকবে তুঙ্গে। এ দুটি ইউনিয়নেই বর্তমান ও সাবেক এমপির অনুসারী প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে কেউ কাউকে ছাড় না দেয়ার পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওই দুটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকধারী প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রার্থী।

যে সকল প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেতে ঢাকায় গিয়ে লবিং করেছেন তারা কার্যত উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় পার করেছেন। কোনো কোনো প্রার্থীর ভাবনাটা এমন, নৌকা প্রতীক না পেলেও নির্বাচনে জয়ী হতে দলের প্রার্থীর বিপক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করবেন। আগের মতো নৌকা পেলেই পাস এমন ভাবনা সফল না হওয়ার সম্ভাবনা এবারো বেশি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক’জন ভোটার জানান, এবারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীকধারাী প্রার্থীর চেয়ে গ্রহণযোগ্য প্রার্থীই প্রাধান্য পাবে বেশি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এবারো প্রতিটি ইউনিয়নেই গ্রহণযোগ্য ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করবে ভোটারগণ।

দলের একাধিক সূত্র জানায়, ১৩টি ইউনিয়নের ইউপি পদে শতাধিক প্রার্থী নৌকা প্রতীক পেতে দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতি প্রার্থী ঢাকায় আসা-যাওয়াসহ বিভিন্ন খরচ বাবদ কমপক্ষে প্রতি প্রার্থীর ৫০ হাজার টাকা খরচ ধরা হলেও প্রায় অর্ধকোটি টাকা ইতিমধ্যে ব্যয় হয়ে গেছে।

এদিকে সরকারি দলের মধ্যে তিনটি পৃথক গ্রুপের মধ্যে এবার ভোটযুদ্ধ চলবে। মূলত এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার আশায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই বেশি সক্রিয়। নির্বাচন করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকলেও প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পাশাপাশি বিএনপির নেতা কিংবা কর্মীরা তাদের দলীয় প্রার্থীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করাতে ইতিমধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নেই মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৯ ডিসেম্বর, দাখিল করা মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তা নিষ্পত্তির সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর। সবশেষে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৭ ডিসেম্বর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়