প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চির নিদ্রায় শায়িত হলেন চাঁদপুরের বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব মোস্তাক হায়দার চৌধুরী। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে, দিনব্যাপী বৃষ্টি অপেক্ষা করে রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ হাজারো মানুষের জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে তাঁর পারিবারিক চৌধুরী বাড়ি কবরস্থানে তাঁকে চির নিদ্রায় শায়িত করা হয়। যে কবর স্থানে গত ৪ দিন আগে ২ ডিসেম্বর তার স্নেহ-আদরে বেড়ে উঠা তার আপন ছোট ভাই বাংলার গর্বিত সন্তান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মাকসুদ হায়দার চৌধুরী চির নিদ্রায় শায়িত হন। ৪ দিনের ব্যবধানে ২ ভাইকে দাফন করতে গিয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় অনেকের চোখই অশ্রুসজল হয়ে উঠে।
বহুগুণের অধিকারী বিশিষ্ট সংগঠক ও সমাজসেবক আলহাজ্ব মোস্তাক হায়দার চৌধুরী ৭৫ বছর বয়সে ২ ছেলে ১ মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গত ৫ ডিসেস্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকাস্থ মিরপুর ডিওএইচএসে তাঁর একমাত্র কন্যার বাসায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে---রাজিউন)। এদিনই রাত ১০টায় মিরপুর ডিওএইচএস জামে মসজিদে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ৬ ডিসেম্বর সোমবার বাদ জোহর পূর্ব শ্রীরামদী তার নিজ বাড়ির সম্মুখস্থানে তার নিজ প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা চৌধুরীবাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো মুসল্লির অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় মরহুমের দ্বিতীয় জানাজার নামাজ।
নামাজের পূর্বে বাদ জোহর চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় মরহুমের বড় ছেলে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণরত বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা ওমর হায়দার চৌধুরী মোবাইল ফোন তার বক্তব্যে তার পিতার জন্যে সকলের নিকট দোয়া চান এবং পিতার জানা অজানা সকল ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করাসহ কারো কোন পাওনা থাকলে তা পরিশোধ করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ সময় মরহুমের জন্যে দোয়া চেয়ে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর আখন্দ সেলিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুনির আহমেদ, চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দীন, নূরিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু তাহের তফাদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিক আহমেদ মিন্টু, মরহুমের ভ্রাতুষ্পুত্র ব্যাংক কর্মকর্তা ফয়সাল হায়দার চৌধুরী ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের পক্ষে পৌর প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি। দোয়া পরিচালনা করেন চৌধুরী বাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবু নাছের। পরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মসজিদ মাঠে তার জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন পুরাণবাজার হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুফতি খাজা আহমেদ উল্লাহ। এ সময় মুসল্লিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রশিদ, চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটারিয়ান কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঞা, শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু মাঝি, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মোঃ বাবর, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, ওয়াহিদুর রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৮-এর সভাপতি নকিবুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংকার মুজিবুর রহমান, কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-১০-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মেজবাহ উদ্দিন জুটন, হুমায়ুন বেপারী, রেজাউল করিম বিপ্লব, মোশারফ হোসেন মানিক, দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। হিন্দু নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষসহ ব্যবসায়ীবৃন্দ। এছাড়া মরহুমের আপন ছোট ভাই মহব্বত হায়দার চৌধুরী, রাজনিতিবিদ মঈনুদ্দিন হায়দার চৌধুরী (মাঈনু), তার ছোট ছেলে সাইফুদ্দিন হায়দার চৌধুরী সুজনসহ আত্মীয় পরিজন উপস্থিত ছিলেন।