প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ড পৌরসভার বর্ধিত অংশের একটি ওয়ার্ড। পৌরসভার আওতাভুক্ত হওয়ার পর থেকে এ ওয়ার্ডে তেমন কোনো উন্নয়ন সাধিত হয়নি। সম্প্রতি এ ওয়ার্ডের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। চাঁদপুর পৌরসভার বর্ধিত এ ওয়ার্ডটিতে জেলা পুলিশ লাইন্স, জেলা পরিষদ, জেলা কারাগার, বিসিক শিল্প নগরীসহ অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার ফলে এ এলাকায় জনবসতি ও জনসমাগম সবসময় বেড়েই চলছে। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় পরিবেশগত উন্নয়ন না হওয়ায় পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে।
সম্প্রতি পৌরসভার দুটি ভ্যান দিয়ে দাসদী এলাকার কিছু অংশের গৃহস্থালির বর্জ্য অপসারণ করা হলেও বর্জ্য নিষ্কাশনের নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় যত্রতত্র রাস্তার পাশে বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে সেখান থেকে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়ছে ও দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। গৃহস্থালির বর্জ্য দুটি ভ্যান দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খালের মধ্যে ফেলার কারণেও পানি প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও বাবুরহাট বাজারের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট কোনো স্থান না থাকায় রমেশ চন্দ্র দে বাড়ির মন্দিরের রাস্তার পাশে ফেলা হচ্ছে। ফলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীগণ মন্দিরে যাতায়াতের সময় মারাত্মক দুর্গন্ধের সম্মুখীন হচ্ছেন।
এদিকে এ ওয়ার্ডে অবস্থিত জনগুরুত্বপূর্ণ বাবুরহাট বাজারে গরু জবাইর নির্দিষ্ট স্থান থাকলেও সে স্থানে গরু জবাই না করে বাজারের মধ্যে মাংস ও মাছ বাজার অংশে গরু জবাইয়ের ফলে বাজারের অভ্যন্তরীণ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। জবাইকৃত পশুর বর্জ্য ড্রেনের মধ্যে জমা হওয়ার কারণে বাজারের মধ্যে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যে, বাজারের ব্যবসায়ীরাই নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে দুর্গন্ধের কারণে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন না। বিষয়টি নিয়ে বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সম্প্রতি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল পৌরসভার বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থায় আধুনিকায়ন করবেন বলে সকলকে অবগত করেছেন। এ বৃহৎ কার্যক্রমের পূর্বে পৌর ১৪নং ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থা ও এখান থেকে পৌরসভার গাড়ি দিয়ে নিয়মিত বর্জ্য অপসারণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।