রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:০২

ডাকাতিয়া ও সিআইপি খালের দুরবস্থা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ও পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী

নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে : জেলা প্রশাসক

অনলাইন ডেস্ক
নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে : জেলা প্রশাসক

এককালের প্রমত্তা বর্তমানে প্রায় মরা ডাকাতিয়া নদী এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধের অভ্যন্তরস্থ খাল দখলের ঘটনা সরজমিনে পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৪) দুপুরে ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়ন ও রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান তাঁরা পরিদর্শন করেন। সিআইপি বাঁধ, ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলালের নেতৃত্বে কমিটির লোকজন এবং স্থানীয় লোকজন তাদের নদী ও খালের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরেন। সংগ্রাম কমিটির নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় লোকজন জানান, এক সময়ের প্রমত্তা ডাকাতিয়া নদী ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে খালে পরিণত হয়েছে। চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাঁধ নির্মাণের পরবর্তী সময়ে সিআইপির অভ্যন্তরে বোরোপিটসহ সকল খাল খনন না করায় এবং দখল ও দূষণে কৃষি, মাছ ও পরিবেশ ভয়াবহ হুমকির মুখে। গত এক দশক ধরে প্রতিবছর বর্ষায় জলাদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এ বছর স্মরণকালের টানা বর্ষণে পুরো ফরিদগঞ্জ উপজেলাসহ পুরো সিআইপির অভ্যন্তরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে মৌসুমভেদে পানি স্বল্পতা ও পানি বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা কৃষিতে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ডাকাতিয়া নদীতে কচুরিপানা জটে পানি নষ্ট হয়ে মাছ ও জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতি হচ্ছে। এসব থেকে রক্ষা পেতে হলে এবং কৃষক, মৎস্যজীবী ও জেলেদের জীবিকা রক্ষায় সিআইপির অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপির অভ্যন্তরে বোরোপিটসহ সকল খাল খনন এবং কচুরিপানামুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সিআইপি বাঁধ, ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন দুলাল বলেন, আমাদের পাঁচ দফার সত্যতা দেখাতে জেলা প্রশাসককে সরজমিনে পরিদর্শনের কথা বলেছিলাম। তিনি এসে বাস্তবতা দেখে গেছেন। জেলা প্রশাসক ও পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী পরিদর্শনকালে সিআইপির অভ্যন্তরের দুরবস্থার চিত্র অনুধাবন করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পুরো বিষয় সম্পর্কে জানি। আমরা এর সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। আশা করছি এ বিষয়ে সব পক্ষের সাথে কথা বলে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে সিআইপি রক্ষা করা সম্ভব হবে। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, সরজমিন পরিদর্শনকালে ডাকাতিয়া নদীর অস্তিত্ব খুঁজে পেতে কষ্ট হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে নদীর পরিবর্তে অন্য জলাশয়কেই নদী বলে মনে হয়েছে। খালগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। সকল পর্যায়ের লোকজনের সাথে কথা বলে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আমি ইতোমধ্যেই ইউএনওকে সেচ প্রকল্পভুক্ত সকল পক্ষকে নিয়ে একটি সভা করে সমস্যা চিহ্নিত করার জন্যে বলেছি। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম ফরহাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী, সিনিয়র সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সিআইপি বাঁধ, ডাকাতিয়া নদী ও খাল খনন বাস্তায়ন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মন্তাজ সরকার, সদস্য রহিমা আক্তার কলি, নূরুল ইসলাম কুট্টি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়