প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৩
মেঘনায় বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন
কোস্ট গার্ডের অভিযানে ২ বাল্কহেডসহ আটক ৯, গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে
বালু তোলার অনুমোদন না থাকলেও চাঁদপুরের মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান দিয়ে চুরি-চামারি করে বালু উত্তোলন চলছে। নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের পাহারা থাকার পরও নদীর প্রাকৃতিক সম্পদ বালু লোপাট হচ্ছে। বালুখেকোরা রাতের আঁধারে এমনকি দিনের বেলায় ড্রেজার ভাসিয়ে চাঁদপুর নৌ-সীমানার মতলব উত্তর ও চাঁদপুর সদর এলাকা দিয়ে গোপনে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ এখন প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে।
|আরো খবর
শনিবার ( ২১ডিসেম্বর ২০২৪) মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ২টি বাল্কহেডসহ ৯জন দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০ ডিসেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার সময় কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক মতলব উত্তরের দশআনী সংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে এই এলাকা হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ২টি বাল্কহেডসহ ৯ জন দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়। জব্দকৃত বাল্কহেড এবং আটক দুষ্কৃতকারীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের নিমিত্তে চাঁদপুর সদর থানা নৌ-পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর ২০২৪) কোস্ট গার্ড আরেকটি অভিযান পরিচালনা করে। সে সময় মতলব উত্তরে মেঘনা নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে ১টি ড্রেজার, ১০টি বাল্কহেডসহ ৩৮জন দুষ্কৃতকারীকে আটক করে। তারও আগে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ বালু উত্তোলনের সময় লোকজনসহ একাধিক ড্রেজার আটক করে মামলা দিয়েছে।
জনমনে প্রশ্ন--প্রতিদিনই নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে। বাল্কহেড, ড্রেজার জব্দ ও বালুর জাহাজের স্টাফ ধরা হলেও যারা নদীতে ড্রেজার ভাসিয়ে চুরি করে বালু উত্তোলন করাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে আসল গডফাদারদের প্রশাসন কেনো ধরছে না? বিষয়টি জেলা প্রশাসন এবং নদী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহল।