বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভা

চাঁদপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত : ৩৫৩ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

চাঁদপুরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত : ৩৫৩ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসন থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলার ৩৫৩ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সাথে রয়েছে একটি মুজিব কেল্লা। প্রায় সোয়া লক্ষ মানুষ এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধীজন অংশ নেন।

সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় হামুন বুধবার দুপুরের আগে আঘাত হানতে পারে। চাঁদপুর ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। এটি যদি আঘাত হানে তাহলে চাঁদপুরে ৩ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সমূহ দুর্যোগ মোকাবেলায় চাঁদপুর জেলায় প্রস্তুতি প্রসঙ্গে সভায় জানানো হয়, জেলা ত্রাণ দপ্তরে আপদকালীন সময়ের জন্যে শুকনো খাবার ও টাকা মজুদ রয়েছে। আমরা সময়মতো দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে পারবো। চাঁদপুর জেলায় ৩৫৩ আশ্রয় কেন্দ্র এবং হাইমচর উপজেলায় একটি মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সোয়া লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। সভায় জানানো হয়, চাঁদপুর জেলার চারটি উপজেলা হচ্ছে নদী তীরবর্তী। এরমধ্যে চাঁদপুর সদর, হাইমচর এবং মতলব উত্তরে রয়েছে চরাঞ্চল। হাইমচরে রয়েছে ২৪টি আশ্রয় কেন্দ্র এবং একটি মুজিব কেল্লা। উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে নদীতে এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করা হবে। রেডক্রিসেন্ট, স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সকলের সতর্কতা এবং প্রচেষ্টায় ইনশাল্লাহ্ এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলা করা যাবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, নৌ-পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসাইন, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ কুদ্দুস, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্মকর্তা প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়