বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৪

সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের মহাপুনর্মিলন: লন্ডনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আবেগঘন সাক্ষাৎ

মিথ্যা মামলার জাল ছিন্ন।ন্যায়বিচারের জয়

মো. জাকির হোসেন
মিথ্যা মামলার জাল ছিন্ন।ন্যায়বিচারের জয়
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছরের বিচ্ছেদের পর আজ লন্ডনে পুনর্মিলিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার বড় ছেলে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই পুনর্মিলন শুধু তাদের পরিবারের জন্য নয়, দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

বিচ্ছেদের পটভূমি :২০০৭ সালে তারেক রহমান চিকিৎসার জন্য লন্ডনে পাড়ি জমান। এরপর ২০১৭ সালে একবার মা-ছেলের সাক্ষাৎ হলেও, গত সাড়ে সাত বছর তারা সরাসরি দেখা করতে পারেননি। এই দীর্ঘ সময়ে তাদের যোগাযোগ ভার্চুয়াল মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ ছিল।

চিকিৎসার প্রয়োজনে লন্ডন যাত্রা : বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, লিভার, ফুসফুস, কিডনি, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। দেশে চিকিৎসার সীমাবদ্ধতা ও পরিবারের সদস্যদের পরামর্শে তিনি লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার জন্য যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

লন্ডনে পৌঁছানো ও পুনর্মিলন :বাংলাদেশ সময় আজ সকাল ১০টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। মা-ছেলের এই আবেগঘন পুনর্মিলনে তারা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন, যা উপস্থিত সবার হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

চিকিৎসা ও পরবর্তী পরিকল্পনা : বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বেগম জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিক হাসপাতালে নেওয়া হয়, যেখানে তার চিকিৎসা চলবে। চিকিৎসার অগ্রগতি ও শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালেও নেওয়া হতে পারে। এছাড়া, সুস্থতা সাপেক্ষে তিনি পবিত্র ওমরাহ পালনেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতি :লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আগে থেকেই অবস্থান করছেন তার স্ত্রী ও মেয়ে। এবার বেগম জিয়ার সঙ্গে গেছেন তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানও লন্ডনে রয়েছেন। এই সফর জিয়া পরিবারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্মিলনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া :বেগম জিয়ার এই সফর ও মা-ছেলের পুনর্মিলন দেশের রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আনন্দ ও আবেগ প্রকাশ করছেন। বিকল্পধারা বাংলাদেশের মুখপাত্র মাহী বি চৌধুরী এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "কিছু সময়ের মধ্যেই একটি মায়ের সঙ্গে তার সন্তানের পুনর্মিলন, একজন দয়ালু দাদীর সঙ্গে তার আদরের নাতনি ও পুত্রবধূর পুনর্মিলন ঘটতে যাচ্ছে। আমি কল্পনা করে আনন্দিত হই, তাদের প্রথম পারিবারিক নৈশভোজ, যেখানে হাসি-আনন্দ, গল্প আর স্মৃতিচারণায় মুখরিত হবে তাদের পরিবেশ।"

সর্বশেষ তথ্য :বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও সুস্থতা নিয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। তার দ্রুত আরোগ্য ও সুস্থ হয়ে দেশে ফেরার জন্য সবার দোয়া কামনা করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আশা করছেন, এই পুনর্মিলন দলের জন্য নতুন উদ্দীপনা ও শক্তি বয়ে আনবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়