বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৬

নৌপুলিশও তবে সক্রিয় হলো

কাজী শাহাদাত
নৌপুলিশও তবে সক্রিয়  হলো

'নৌ পুলিশের অভিযানে ড্রেজার ও বাল্কহেডসহ ৯জন গ্রেপ্তার' শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ দেখে সচেতন সাধারণ প্রতিটি মানুষেরই ভালো লাগছে। কেননা গত বেশ কিছুদিন ধরে জলে ও স্থলে উপকূল রক্ষী কোস্ট গার্ড-এর আশানুরূপ ও আশাব্যঞ্জক সফল অভিযানের সংবাদই দর্শক-শ্রোতা গণমাধ্যমে দেখে আসছিলো। একই সাথে নৌপুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নয়, আভিযানিক সাফল্যের কথা জানতে না পেরে সাধারণ্যে কম-বেশি হতাশা বিরাজ করছিলো। এরই মাঝে হাইমচরের মেঘনায় জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় নৌপথের নিরাপত্তায় নৌপুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে, যদিও বিশাল মেঘনায় নিরাপত্তার নিশ্ছিদ্র চাদর বিছানো কঠিন বাস্তবতায় নৌপুলিশ ও কোস্ট গার্ড কারো জন্যেই সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকটা অপেক্ষার যন্ত্রণা কাটিয়ে নৌপুলিশের সাফল্য দেখা গেলো, যা উদ্বিগ্ন সকল মহলের জন্যেই স্বস্তিদায়কই বটে।

চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার দায়ে তিনটি ড্রেজার ও দুটি বাল্কহেডসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। সোমবার দিনগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ সীমানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার দিয়ে বালুবহনকারী বাল্কহেডসহ লোকজনকে আটক করে নৌপুলিশ। নৌপুলিশ জানায়, মেঘনা নদীর মোহনপুরসহ বিভিন্ন স্থানে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে আসছে। প্রতিদিন অভিযান চালানোর পরও বন্ধ করা যাচ্ছে না বালু উত্তোলন। মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে তিনটি ড্রেজার, দুটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। ওই সময় ড্রেজারে কর্মরত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নৌপুলিশ প্রতিনিয়ত অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মেঘনা নদীতে অবৈধ প্রক্রিয়ায় বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে সকল পুলিশ ফাঁড়ি পালাক্রমে অভিযান পরিচালনা করছে। তিনি আরও জানান, গত দুই মাসে ৩০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অর্ধশত লোক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ত্রিশের অধিক ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে। মেঘনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নৌপুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নৌপুলিশের দুমাসের তৎপরতার যে বিবরণ তুলে ধরেছেন, সেটা তাদের জনসংযোগ বিভাগ বা প্রেস উইংয়ের যথার্থ ভূমিকার অভাবে গণমাধ্যমে যথাসময়ে আসেনি। আসলেও এমন তৎপরতাকে খুব সন্তোষজনক বলা যাচ্ছে না, যদি একই সময়ে কোস্ট গার্ডের তৎপরতার সাথে তুলনা করা হয়। সে যাই হোক, মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে নৌপুলিশ দৃশ্যমান তৎপরতা শুরু করেছে এবং পালাক্রমে নৌপুলিশের ফাঁড়িগুলো তৎপরতা চালাবে বলে জানানো হয়েছে, যেটা আশা জাগানিয়া বিষয়ই বটে। খেয়াল রাখতে হবে, সর্ষের ভেতর ভূতের ন্যায় নৌপুলিশের ফাঁড়িতে যেন কিছু না থাকে। যেমনটি কম-বেশি দেখা যায়, শোনা যায় এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে। আমরা চাঁদপুরের নৌপথে নৌপুলিশের সর্বাত্মক ও প্রশ্নাতীত সক্রিয়তা প্রত্যাশা করছি। সাথে সাথে ঊর্ধ্বতন মহলের মনিটরিং বা তদারকির দাবিও জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়