প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২৭
২০১৫ সালে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার মূলহোতা ছাত্রলীগ নেতা হাসান গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতার পেছনে ছাত্রলীগ নেতার জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর তথ্য
২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মনিপুরি পাড়া এলাকা থেকে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
|আরো খবর
হামলার ঘটনা:
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার সময় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। কারওয়ান বাজার এলাকায় সংঘটিত এই হামলায় খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও তার নিরাপত্তারক্ষীসহ কয়েকজন আহত হন এবং বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আইনানুগ প্রক্রিয়া:
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার অন্যতম এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন আবুল হাসান। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে আরও একটি নিয়মিত মামলা রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আড়ালে থাকার কৌশল:
২০১৫ সালের পর থেকে আবুল হাসান তেজগাঁও থানা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। মনিপুরি পাড়া এলাকায় অবস্থানকালে তিনি গ্রেপ্তার হন। তবে, তার আর্থিক উৎস ও পেশাগত জীবনের বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষণ:
বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৫ সালের এই ঘটনাটি রাজনৈতিক উত্তেজনার উদাহরণ। এই গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালতে মামলার অগ্রগতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের একজন নেতার এমন কাজে জড়িত থাকার বিষয়টি রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রশ্ন তুলেছে।
পুলিশের বক্তব্য:
তেজগাঁও থানার এক কর্মকর্তা বলেন, “আবুল হাসান দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। আমরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
গ্রেপ্তারের খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নমুখী প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ ন্যায়বিচারের আশায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
উপসংহার:
বিগত সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার অন্যতম ঘটনায় অভিযুক্ত একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করায় মামলার অগ্রগতি এবং বিচারের পথে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ গ্রেপ্তার ভবিষ্যতে রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।