প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৩, ২৩:০৯
ফরিদগঞ্জে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩০
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে যুবদলের সম্মেলনে বক্তব্যের জন্য নাম ঘোষণা না দেয়াকে কেন্দ্র করে পৌর যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ইমাম হোসেন ও নাজিম ভুঁইয়ার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে।
|আরো খবর
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা আশেক আলী স্কুল এন্ড কলেজের সম্মেলন কক্ষে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে ফরিদগঞ্জে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অন্তত ৭/৮জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। চিকিৎসাধীনরা হলো: জিসান আহমেদ (২৩), জাকির হোসেন (৪৫), আরিফ(৩৬), রুবেল (৩২), মুরাদ(২৩), সাইফুল ইসলাম(২৩), মনির হোসেন রুবেল(৩০)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক বছর পর উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সে আলোকে শনিবার (২৬ আগস্ট) সম্মেলন শুরু হয়। কিন্তু সম্মেলনের একপর্যায়ে চাঁদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান আকাশ ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহারসহ জেলার অন্যান্য নেতাদের উপস্থিতিতেই সংঘর্ষ শুরু হয়।
যুবদলের একাধিক নেতা জানান, দীর্ঘ বছর পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও পৌর যুবদলের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ সম্মেলনকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক এম এ হান্নান। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা গত প্রায় একমাস ধরে কাউন্সিলরদের বাড়ী বাড়ি ঘুরে চেয়েছেন। স্থানীয় পত্রিকায় সম্মেলনকে সামনে রেখে সংঘর্ষের আশংকা ব্যক্ত করেছিলেন। সেই আশংকাকে সত্যি করে শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে মাইকে নাম ঘোষনাকে কেন্দ্র করে পৌর যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ইমাম ও নাজিমের অনুসারিরা ককটেল বিস্ফোরণ ও চেয়ার ছোড়াছড়ি শুরু করেন। এতে অন্তত উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন আহত হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মহসিন মোল্লা জানান, সম্মেলনের সবকিছুই ঠিক ছিল। সঠিক সময়ে শুরু হয় সম্মেলন। আমি সম্মেলনের সভাপতি ছিলাম। সঞ্চালক ছিলেন পৌর যুবদলের আহবায়ক ইমাম হোসেন। তিনি বক্তব্যের জন্য নাম ঘোষণা করছিলেন। ওই সময় বক্তব্যের জন্য কেন পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও বর্তমানে সভাপতি প্রার্থী নাজিম ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করা হয়নি এই নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
তিনি আরো জানান, সংঘর্ষে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যার কারণে বাধ্য হয়ে সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করি। সংঘর্ষে ৭-৮জন গুরুতর আহত হয়েছেন। বাকীরা আহত হলেও প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মীরা আসার কারণে আহতের নাম জানা যায়নি।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মান্নান জানান, যুবদলের সম্মেলন করা হবে আমাদের কাছ থেকে কোন ধরণের অনুমতি নেয়া হয়নি। আমরা সম্মেলন সম্পর্কে জানতাম না। তবে সংঘর্ষের খবর জানতে পেরেছি।#