রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে হেভিওয়েট প্রার্থী খাজে আহমেদ মজুমদার
অনলাইন ডেস্ক

যার একক নেতৃত্বে ফরিদগঞ্জ উপজেলা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন উন্মদনা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিয়ে এসে পর্যায়ক্রমে যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগে নিয়ে আসার মাধ্যমে একদা বিএনপির দুর্গ নামে খ্যাত ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের মধ্যে বিপুল সংখ্যক তরুণদের আগমন ঘটিয়েছেন, তিনি আর কেউ নন, এই সময়ে ফরিদগঞ্জের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা খাজে আহমেদ মজুমদার। চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রখ্যাত সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানও যার নেতৃত্ব গুণে সন্তুষ্ট। ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজয়ের পর ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে খাজে আহমেদ মজুমদারের সাহসী ভূমিকার কারণে সকল ষড়যন্ত্রকে পেছনে ফেলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন মুহম্মদ শফিকুর রহমান। শুধু তাই নয়, নির্বাচনের পর থেকে অদ্যাবধি খাজে আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সরকারের উন্নয়নের কথা প্রচার করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বিএনপি ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে রাজপথে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা-কর্মীরা।

তরুণ প্রজন্মের আইকন খ্যাত খাজে আহমেদ মুজমদার আসন্ন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অন্যতম প্রার্থী। তার সমর্থকদের দাবি, যে ক’জন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রয়েছেন, আলোচনায় সকল দিক বিবেচনায় তিনি যে হেভিওয়েট প্রার্থী তা নির্দ্বিধায় বলা যায়।

হিসাববিজ্ঞানে মাস্টার্স খাজে আহমেদ মজুমদার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সাচনমেঘ গ্রামের আওয়ামী প্রাণ আবুল কালাম মুজমদার ও তাছলিমা আক্তার দম্পতির আদরের সন্তান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক সন্তানের জনক।

ছাত্র অবস্থায় ১৯৯৬ সালে মুন্সীরহাট জি এন্ড এ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি হিসেবে নেতৃত্বে আসেন। ১৯৯৯ সালে সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া ১৯৯৭ সালে শেখ কামাল যুব সংঘ, টোরা মুন্সীরহাট-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং ২০১০ সালের ২ জুন কাউন্সিলদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে বিপুল ভোটে ফরিদগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর থেকে শুরু হয় তার নেতৃত্বে ফরিদগঞ্জে ছাত্রলীগের পুনর্জাগরণ। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের সুদৃঢ় নেতৃত্ব গড়ে উঠার ক্ষেত্রে সফল নেতৃত্ব দেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

সামাজিক কর্মকাণ্ডে খাজে আহমেদ মজুমদার অন্যতম। তিনি রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর আলিম মাদ্রাসা, সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের কামতা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা, সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে বদরপুর আলিম মাদ্রাসা ও মনতলা হামিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ৪ তলা বিশিষ্ট ভবন তার সভাপতির কার্যকালে নির্মিত হয়।

গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে শিক্ষার জন্য নিরলস কাজ করছেন তিনি। আজকের দৃষ্টিনন্দন গল্লাক আদর্শ ডিগ্রি কলেজের পিছনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও খাজে আহমেদ মজুমদারের অবদান অনস্বীকার্য।

এছাড়া করোনাকালীন সময়ে সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপি মহোদয়ের নির্দেশে গরিব, অসহায়, দরিদ্র এবং কর্মহীন প্রায় ১৪ হাজার পরিবারের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন খাজে আহমদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

১৯৯৬ সালে বিএনপির একতরফা ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন প্রতিরোধ করার জন্য স্কুল ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন দিয়ে শুরু হয় তার রাজনীতির মাঠের বিচরণ। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে ফরিদগঞ্জ আসনের প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে মিথ্যা মামলায় আসামী হয়ে কারাবরণ করতে হয় তাকে। একইভাবে ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের পক্ষে তিনি এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক দ্রুত বিচার আইনে বোমাবাজি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার আসামী হতে হয় তাকে। তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ জলিল এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তৎকালীন দপ্তর সম্পাদক অ্যাডঃ আঃ মান্নান খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের বিশেষ অনুরোধে নিম্ন আদালত চাঁদপুরে এসে এই মামলার বিজ্ঞ আদালতে চার্জ গঠনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৫-০৬ সালে বিএনপি-জামাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন তিনি। ২০০৬ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারির পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে জরুরি অবস্থা ভঙ্গ করে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

২০১৩-১৪ সালের বিএনপি-জামাতের আগুন সন্ত্রাস পেট্রোল বোমার মাধ্যমে মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যাকালীন সময়ে অরাজক পরিস্থিতিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে রাজপথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

এরপর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও মাননীয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী সাংবাদিক মুহম্মদ শফিকুর রহমানের নির্বাচনে ১১৭টি ভোট কেন্দ্রের কেন্দ্র পাহারা কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার মাধ্যমে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিতে অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি।

বর্তমানে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও ফরিদগঞ্জ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রখ্যাত সাংবাদিক মোঃ শফিকুর রহমানের আস্থাভাজন হিসেবে মেধা, সততা, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা ও অসম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা ছড়িয়ে দিতে ফরিদগঞ্জে অগোছালো নেতা-কর্মীদের গোছাতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে খাজে আহমেদ মুজমদার আপোসহীন ও অকুতোভয় সৈনিক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ আপামর সকলের কাছে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত খাজে আহমেদ মজুমদার উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রার্থী হওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি, এ জাতির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বুকে ধারণ করে, লালন করে, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজীবন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে মার্কা নৌকার পক্ষে অবিচল থেকে অসম্প্রদায়িক সুখী সমৃদ্ধ উন্নত দেশ গড়তে ভূমিকা রাখতে চাই। ফরিদগঞ্জে আওয়ামী লীগের পুনর্জাগরণে তরুণ ও যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগের সরকারের গত ১৪ বছরের ধারাবাহিক উন্নয়ন ও স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তি আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতি তরুণ ও যুবকদের আকৃষ্ট করতে হবে। ১৯৭০ সালে সারাদেশের মতো ফরিদগঞ্জে যেমন আওয়ামী লীগের জোয়ার ছিল, আমি আবারো সেই জোয়ার বইয়ে দিতে চাই। এছাড়া আমার প্রত্যাশার অনুকূলে মাননীয় নেত্রী, দলের সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, জেলা আওয়ামী লীগ, ফরিদগঞ্জ উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতৃবৃন্দ, সর্বোপরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহপাঠী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সফল সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ফরিদগঞ্জ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সহযোগিতা নিয়ে ফরিদগঞ্জের আওয়ামী লীগকে একটি শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়