সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

চুরি কমাতে কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করুন

চুরি কমাতে কমিউনিটি পুলিশিং জোরদার করুন
অনলাইন ডেস্ক

কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা বা কমিউনিটিতে অপরাধ দমন ও অপরাধ উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশ ও ঐ এলাকার জনগণের পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ঘাটন ও বাস্তবায়নের পদ্ধতিই কমিউনিটি পুলিশিং।

আর বিট পুলিশং হচ্ছে পুলিশের সেবাকে জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়া, সেবার কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করা এবং পুলিশের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে প্রতিটি থানাকে ইউনিয়ন ভিত্তিক বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক এক বা একাধিক ইউনিটে ভাগ করে পরিচালিত পুলিশিং ব্যবস্থা।

কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য এক। তবে প্রায়োগিক ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। সাবেক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বাংলাদেশের সর্বত্র কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি চাঁদপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন (২০/০৯/১৯৯৬ থেকে ১৭/৫/১৯৯৯) কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ/বাস্তবায়ন (পাইলটিং) শুরু করেন এবং সাফল্য খুঁজে পান। তাঁর এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পরবর্তী পুলিশ সুপার মোঃ আমির উদ্দিন ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্টে।

চাঁদপুরে সাড়ে বাইশ বছর আগে চালুকৃত কমিউনিটি পুলিশিংয়ের শিকড় এখানকার মাটির অনেক গভীরে প্রোথিত বললে অত্যুক্তি হবে না। এখানকার কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে আইজিপিগণের মধ্যে এ. ওয়াই. বি. আই. সিদ্দিকী, মুহাম্মদ নুরুল হুদা, নূর মোহাম্মদ, একেএম শহীদুল হক ও মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী অংশ নিয়েছেন। চাঁদপুর শহর ও জেলার অধিকাংশ অরাজনৈতিক সুধীবৃন্দ কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের সাথে জড়িত। সেজন্যে কম-বেশি ত্রুটি-বিচ্যুতির মধ্যেও এখানকার কমিউনিটি পুলিশিং জনগণের কাছে অনেক বেশি পরিচিত ও গ্রহণযোগ্য এবং চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ হ্রাস/দমন ও সমস্যার সমাধানে, বিশেষত জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কার্যকর বলে প্রমাণিত।

নব্বইর দশকের শেষ দিকে চাঁদপুর শহরে চুরি, ডাকাতি, খুনসহ বিভিন্ন অপরাধ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেলে এবং পুলিশ এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে থাকলে কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-১ নামে কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের আশাব্যঞ্জক সাফল্যে এখন চাঁদপুর শহরের ১৫টি ওয়ার্ডে চাঁদপুর-অঞ্চল-১ থেকে ১৫ পর্যন্ত সেটি বিস্তৃত। প্রায় শ’ খানেক ব্যক্তি নৈশকালীন টহল কার্যক্রমে নিযুক্ত আছে জনগণের অর্থে, যেখানে পুলিশ তথা সরকারকে দিতে হচ্ছে না কোনো ভর্তুকি। তবে পুলিশের সমর্থন, তদারকি ও সহযোগিতা রয়েছে শতভাগ।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘বাগাদী চৌরাস্তায় দুর্ধর্ষ চুরি : ২০ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে গেছে চোর’ শীর্ষক সংবাদ পড়েই মূলত চাঁদপুরে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম সম্পর্কে প্রাগুক্ত বিবরণের অবতারণা করলাম। এ সংবাদে বাগাদী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করা হয়েছে। তারা বলেছেন, এ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আগামী শনিবার চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ মিটিং করবো এবং চৌরাস্তা বাজারে নৈশকালীন পাহারার ব্যবস্থা করা হবে, যাতে আর কোনো ব্যবসায়ী চুরির শিকার না হন। আমরা মনে করি, যদি তা-ই করা হয়, তাহলে পরিস্থিতির কম-বেশি উন্নতি হবে। এক্ষেত্রে চাঁদপুর শহর অনেক বড় দৃষ্টান্ত। আমরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ সকল বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে চুরিসহ অন্যান্য অপরাধ কমাতে কিংবা দমনে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়