প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯
‘রাঙ্গামাটির রঙে চোখ জুড়ালো'
![‘রাঙ্গামাটির রঙে চোখ জুড়ালো'](/assets/news_photos/2025/02/13/image-58888-1739418020bdjournal.jpg)
\ দুই \
|আরো খবর
আগে খাওয়া, পরে হোটেল রুমে
রাঙ্গামাটি যাওয়ার আগে শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের কোনো অগ্রবর্তী দল সরজমিনে এসে ভ্রমণসূচি তৈরি করেনি। রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন থেকে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন।তঁার পক্ষে সহকারী কমিশনার তামজীদ হোসেন বারবার কথা বলেছেন সভাপতির সাথে। আমরা যাত্রার পর কখন কোথায় আছি, সে খবর তিনি যে কতবার নিয়েছেন! তিনি স্কয়ার পার্ক হোটেলের পাশে অন্নপূর্ণা রেস্তোরঁায় দুপুরের খাওয়ার অর্ডার দিয়ে রেখেছিলেন। রাঙ্গামাটি পেঁৗছতে দেরি হওয়ায় তামজিদ সাহেব বলেছেন, আপনারা আগে খেয়ে নিয়ে তারপর হোটেল রুমে যাবেন। আমরা সেটাই করেছি।
বলা দরকার, সভাপতি কাজল তার ফেসবুক বন্ধু নানিয়ারচর বিএনপির সভাপতি আজিজ নবী রেজার মাধ্যমে প্রথমে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছিলেন। এটা জেনে জেলা প্রশাসক মহোদয় কিছুটা রাগ হয়ে বলেছিলেন, আপনাদের রাঙ্গামাটি আসার দরকার নেই। তারপর সেই বুকিং বাতিল করে রাঙ্গামাটি ভ্রমণে যা কিছু হয়েছে, সবকিছুই জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হয়েছে। এক্ষেত্রে এনডিসি ও সহকারী কমিশনার তামজিদ হোসেনের মনিটরিং ও দিকনির্দেশনা ছিলো আন্তরিক।
লাইভ আর লাইভ
শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের আনন্দ ভ্রমণের গুরুত্বপূর্ণ সকল অংশই ছিলো সরাসরি প্রচার (লাইভ)-এর আওতায়। এক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় ও আরোপিত দায়িত্বের আওতায় ছিলো দৈনিক ইত্তেফাকের শাহরাস্তি প্রতিনিধি, সবচে' লম্বা মানুষ জসিম উদ্দিন এবং ইতোমধ্যে দাদা ও নানা হয়ে যাওয়া মুরুব্বী-সদস্য, কবি-সাহিত্যিক হাসানুজ্জামান। যাত্রার প্রাক্কালে সভাপতির স্বাগত বক্তব্য ও আমার বক্তব্যের পর ক্যাপ ও ব্যাজ বিতরণ উদ্বোধন, টাইম স্কয়ারে যাত্রা বিরতিকালে অংশগ্রহণকারীদের আনন্দ অভিব্যক্তি প্রকাশ সহ আরো অনেক কিছুই ছিলো লাইভের আওতায়।
পলওয়েল পার্ক
রাঙ্গামাটি শহরে জেলা প্রশাসকের বাংলোর সামনে ডিসি পার্ক, দোয়েল চত্বরের অদূরে রাঙ্গামাটি পার্ক এবং ডিসি বাংলো রোডে রয়েছে পুলিশের পলওয়েল পার্ক। এগুলোর মধ্যে পলওয়েল পার্কই সেরা। কাপ্তাই হ্রদের তীরে শুক্রবার সন্ধ্যায় পলওয়েল পার্ক দিয়েই শুরু রাঙ্গামাটির রঙ দেখা। বৈচিত্র্যপূর্ণ এই পার্কটি ২০২০ সালে উদ্বোধন করেছেন চঁাদপুরের কৃতী সন্তান আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার) । এ পার্কটিতে নির্মল বিনোদন ও মুখরোচক খাবারের অনেক আয়োজনই আছে। পিকনিক পার্টির জন্যে এই পার্কটি চমৎকার জায়গা। পার্কটির বিচিত্রতায় আকৃষ্ট হয়ে রাঙ্গামাটি ভ্রমণের শেষদিন রোববার মধ্যাহ্নে সপরিবারে সেখানে দ্বিতীয়বার গিয়ে ছবি তোলার যে সুযোগ নিয়েছি, আমার ভ্রমণসঙ্গীদের অন্য কেউ সে সুযোগ আর নিতে পারেনি।
থমকে যাওয়া 'লাভ পয়েন্ট'
সভাপতি কাজলের সাথেই সন্ধ্যায় ঘুরছিলাম পলওয়েল পার্কে। হঠাৎ কাজল একটা হৃদয় চিহ্নের নিচে দঁাড় করিয়ে আমাকে ছবি তুলতে বললেন। আমরা দুজন ছবির ফ্রেমে যুগলবন্দী হলাম। তারপর কাজল বললেন, ভাই! আপনি তো লিখবেন। অঙ্গুলির ইশারায় বললেন 'ভালোবাসার শোক গাথা'র ছবিটি তুলুন।
আমার মেয়ে আকিবা তুললো সেই ছবিটি। যা পড়ে দেখলাম, তাতে থমকে দঁাড়ালাম। শোকগাথাটি হচ্ছে--আমেরিকা প্রবাসী আলাউদ্দিন স্ত্রী আইরিন সুলতানা লিমাকে নিয়ে রাঙ্গামাটিতে বেড়াতে আসেন ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ। ঐ দিনই একটি ইঞ্জিন বোট নিয়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌ ভ্রমণকালে আকস্মিক ঝড়ে নৌকাটি দুলে উঠলে লিমা ভয়ে পানিতে ঝঁাপ দেন। স্ত্রীকে বঁাচাতে আলাউদ্দিনও হ্রদের জলে লাফিয়ে পড়েন। ডুবুরীরা অনেক খেঁাজাখুঁজির পরও তাদের খুঁজে পায় নি। তিনদিন পর ২২ মার্চ পরস্পরকে আলিঙ্গনরত অবস্থায় আলাউদ্দিন ও লিমার লাশ পানিতে ভেসে উঠে। মৃত্যুও বুঝি এই দম্পতিকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি। ভালোবাসার এমন বিরল দৃশ্য পার্বত্য শহর রাঙ্গামাটির মানুষকে আপ্লুত করে। আলাউদ্দিন-লিমার ভালোবাসার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যে স্থানে তাদের মরদেহ ভেসে উঠেছিল তার পাশেই পলওয়েল পার্কে হয়েছে দেশের প্রথম 'লাভ পয়েন্ট'। শুধু এ দম্পতিই নয়, সারা পৃথিবীর সব প্রেমিক- প্রেমিকার চিরন্তন ভালোবাসার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে নিবেদিত স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিকল্পনায়।
এই হৃদয় চিহ্নে তালা লাগিয়ে অনেক দম্পতি ও প্রেমিক-প্রেমিকা চাবিটা হ্রদে ফেলে দেন বলে জানা গেছে। তার প্রমাণস্বরূপ অসংখ্য তালাকে আবদ্ধ দেখলাম সেই হৃদয় চিহ্নে।
কাপ্তাই হ্রদে মুগ্ধতা
শুক্রবার সন্ধ্যায় পলওয়েল পার্কে থাকাকালীন সভাপতি কাজলকে ফোন দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষে নিয়োজিত গাইড রমজান বললেন, আপনি কোথায়? কাল কাপ্তাই লেকে যাওয়ার লঞ্চ তো রেডি। আমি দেখা করতে চাই। পার্ক থেকে ফেরার পর তার সাথে দেখা হলো। সিদ্ধান্ত হলো, শনিবার সকাল দশটার মধ্যে হোটেল স্কয়ার পার্কের নিকটবর্তী হ্রদের ঘাট থেকেই যাত্রা শুরু হবে।
অবশ্য দশটার পরে আমাদের যাত্রা শুরু করতে হলো অন্নপূর্ণা রেস্তোরঁায় নাস্তা পরিবেশনে অব্যবস্থাপনার কারণে। যাত্রা শুরুর পর দেশের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট কাপ্তাই হ্রদের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য দেখতে দেখতে শীতল বাতাসে ভ্রমণ ক্লান্তি ঘুচতে লাগলো। রৌদ্রকরোজ্জ্বল দিনে কাপ্তাই হ্রদের নীলাভ পানিকে কখনো কখনো সূর্যের প্রখর রশ্মিতে স্বর্ণাভ মনে হচ্ছিল, আর পাহাড়গুলো লাল আভায় জ্বলজ্বল করছিল। এ সময় হাসানুজ্জামানের লাইভ লঞ্চের অগ্রভাগকে করে তুললো জমজমাট। জসিম উদ্দিনও লাইভে ছিলেন সমান তালে।
ঘণ্টাখানেকের কম সময়েই প্রথম বিরতি
কাপ্তাই হ্রদে মুগ্ধতায় আচ্ছন্ন হবার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই জানানো হলো, আমরা একটি উপজাতীয় মার্কেটে যাবো। লঞ্চ থামানো হলো। খাড়া তীর বেয়ে পাহাড়ের কোলে খুঁজে পাওয়া গেলো উপজাতীয়দের তৈরি বাহারি পণ্যে ভরপুর এবং আনারস, বেল, তেঁতুল, ডাবে সাজানো এক মার্কেট। মার্কেটটির নাম নির্মাণ নগর মন্দির উপজাতি মার্কেট।
ঘোষক মাইনুর হারিয়ে যাওয়া, ঘোষণা দিয়েই খুঁজে পাওয়া
মহিউদ্দিন মাইনু শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সক্রিয় সদস্য, যিনি ভরাট কণ্ঠের অধিকারী। হ্যান্ড মাইক দিয়ে বারবার ঘোষণা উচ্চারণ করে ভ্রমণ সংগীদের হাসিয়েছেন, সতর্ক করেছেন, সভাপতির পক্ষে নির্দেশনা শুনিয়েছেন। সেই মাইনু হারিয়ে গেলেন মার্কেটে। বিশ মিনিটের জায়গায় এক ঘন্টা কাটানো এই মার্কেট থেকে ফিরে ১০০ গজ না যেতেই অনেকেই খেয়াল করলেন, মাইনু সহ অন্তত দুটি পরিবার লঞ্চে উঠেনি। পরে হ্যান্ড মাইকে ঘোষণা দিয়ে লঞ্চ তীরে ভিড়িয়ে খুঁজে পাওয়া গেলো মাইনুকে। অন্যথায় তিনি কীভাবে কাপ্তাই হ্রদ পাড়ি দিয়ে রাঙ্গামাটি শহরে যেতেন-- ভাবতেই শিহরিত হতে হয়েছে। কারণ মোবাইল নেটওয়ার্ক মার্কেটটিতে থাকে না ও ছিলো না। যার ফলে কারো সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ছিলো অসম্ভব।
শুভলংয়ে ক্ষণিক বিরতি, পেদা-টিং-টিংয়ে যতো স্বস্তি
কাপ্তাই হ্রদের শুভলং ঝরণা শীতের শেষে এসে যৌবন ও সৌন্দর্য দুটোই হারিয়ে ফেলে। সেজন্যে শুভলং গিয়ে মন খারাপই করতে হলো অনেককে। টি-শার্টের স্পন্সর, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের দাতা সদস্য প্রিন্সকে ফেলে রেখে দ্রুত ফিরলো প্রায় সবাই। এই ঝরণা দেখার ফি বাবদ ৫০০টাকা অগত্যা প্রিন্সকে পরিশোধ করেই ছাড় পেতে হলো। তবে তিনি পেলেন না স্বস্তি। শুভলং ঝরণায় পানির জোরালো প্রবাহ নেই। ক্ষীণ জলধারার শুভলংয়ে বিরতি দেয়াটাই বিরক্তিকর মনে হলো।
সময় গড়িয়ে দুটো পেরিয়ে গেলো। দুপুরের খাবার খেতে শুভলং থেকে ফিরতে হলো কাপ্তাই হ্রদের মাঝে দ্বীপের মতো দৃশ্যমান একটি পাহাড়ে পেদা-টিং- টিং রেস্তেঁারায়। ছোট মাছ ফ্রাই, সবজি, ব্যাম্বো চিকেন ও ডাল খেয়ে সবাই উদোরপূর্তি করে তৃপ্তি পেলো অনেক। এই তৃপ্তির চেয়ে আরো বেশি স্বস্তির ও মন ছুঁয়ে যাওয়ার মত বিষয় ছিলো চারপাশের কাপ্তাই হ্রদকে ভালোভাবে দেখে নেওয়া। এই দ্বীপে প্রায় পৌনে দু'ঘণ্টার অবস্থানে ছবি তোলার সুযোগ নিয়ে প্রত্যেকেই ভীষণ তৃপ্তি পেলেন। যে এঙ্গেল থেকেই ছবি তোলা হয়েছে, সেটিই হয়েছে সুন্দর। আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে এজন্যে যে, আমি পূর্বে দুবার রাঙ্গামাটি ভ্রমণে গেলেও কেউ আমাকে এই রেস্তোরঁায় যেতে বলে নি, যাতে আমি বঞ্চিত হয়েছি অনেক কিছু থেকেই, শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের সাথে এবার আনন্দ ভ্রমণে গিয়ে সেই বঞ্চনা অভিনব প্রাপ্তিতে ঘুচে গেছে।
'ব্যাম্বো চিকেন'
রাঙ্গামাটিতে তিনদিনের আনন্দ ভ্রমণে আমাদের কাছে 'ব্যাম্বু চিকেন'ই ছিলো ব্যতিক্রম খাবার। এই খাবারটি আমাদের পেদা-টিং-টিং রেস্তোরঁায় দুপুরের খাবারের মেন্যুতে প্রধান আইটেম ছিলো। পাহাড়িদের সংস্কৃতিতে বঁাশনির্ভর রান্না একটা উল্লেখযোগ্য বিষয়। পিঁয়াজের প্রাধান্যে মুরগির মাংস খেতে অনেক সুস্বাদুই মনে হলো। সিদ্ধান্ত হলো, নিজ এলাকায় গিয়ে কোনোভাবেই বলবো না যে, সভাপতি আমাদেরকে বঁাশ দিয়ে মুরগি খাইয়েছেন। বলবো এটা যে, তিনি আমাদেরকে পাহাড়ি মুরগি খাইয়েছেন।
ঝুলন্ত সেতুতে কিছুক্ষণ
পেদা-টিং-টিং থেকে রওনা দিয়ে রাঙ্গামাটি জেলাকে ব্র্যান্ডিং করার প্রধান উপজীব্য ঝুলন্ত সেতুর নিকটে গিয়ে থামলো লঞ্চ। সবাই নামেনি। যারাই নামলো, তারা দেখলো এ সেতুকে ঘিরে পর্যটকদের সে কী সমাগম। বিলাসবহুল জাহাজ, স্পীডবোট সহ অন্যান্য নৌযানের সে কী সমাহার! উন্নত বিশ্বের একটি খণ্ডিত রূপ চোখে ভাসলো। অনেকে ব্রিজ পেরিয়ে পাহাড়ি সিঁড়ি বেয়ে মার্কেটে গেলো, কেনাকাটা করলো। কেউ কেউ লঞ্চে না উঠে সরাসরি হোটেলে চলে গেলো।
একটি বিড়ালের গল্প
চঁাদপুর প্রেসক্লাবের এক আনন্দ ভ্রমণে সাপ্তাহিক চঁাদপুর সকালের সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন লিটনের বড়ো মেয়ের বিড়ালপ্রীতি লক্ষ্য করেছিলাম। এবার শাহরাস্তি প্রেসক্লাবের আনন্দ ভ্রমণে গিয়ে ওই প্রেসক্লাবের সদস্য ফিরোজ বেপারীর পরিবারের সদস্যদের বিড়ালপ্রীতি লক্ষ্য করলাম। তাদের বিড়ালটির নাম 'হীরা'। এটিকে নিয়ে শুনলাম নানান কথা। সভাপতি ফিরোজকে এই বিড়ালের বাপ বলতে কসুর করেননি। আমার মেয়ে আকিবা ভীষণ বিড়াল ভক্ত। কিন্তু আমার জন্যে সে বিড়াল ঘরে তুলতে পারে না। কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণকালে 'হীরাতে'ই ছিলো সে ভীষণ মগ্ন। বিড়ালটিকে আদর করার জন্যে তার মনোযোগ ছিলো লক্ষ্যণীয়।
বিড়ালটি পথিমধ্যে ভাটিয়ারীতে ফিরোজ বেপারীর হাত থেকে ফসকে গিয়ে একটি দোকানে লুকিয়ে গিয়েছিলো। তাকে সংগ্রহ করে আনতে তার খরচ হয়েছে অনেক টাকা। আর উদ্বেগ উৎকণ্ঠা তো ছিলোই। বিড়ালটির প্রতি তার দরদ ও যত্ন আমার বিড়ালবিরুদ্ধ মনকেও গলিয়ে দিয়েছে।
পেদা-টিং-টিং রেস্তোরঁায় বিড়ালটিকে আমার মেয়ের হাতে তুলে দিয়েই ফিরোজ বেপারী সপরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজের সুযোগ নিয়ে স্বস্তি খুঁজেছেন এই ভেবে যে, আকিবার মতো একজন বিড়াল ভক্ত আছে তার ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে।
(চলবে)