প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২১, ২২:০৬
হাজীগঞ্জে সহিংসতায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত দশ পরিবারকে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের ১১ লাখ টাকার সহায়তা
এই আর্থিক সহযোগিতা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর ঘুরে দাঁড়াতে সহায়ক হবে : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি
হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা, আগুন দেয়া ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর মধ্যে নগদ ১১ লাখ টাকা তুলে দিয়েছে বিদ্যানন্দ। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা তুলে দেয়া হয় নিহত একজনের পরিবারের হাতে।
|আরো খবর
২৪ অক্টোবর রোববার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতির প্রকৃতি অনুসারে সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে নিহত পথচারী মোঃ বাবুল বিশ^াসের পরিবারও রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সহায়তা হস্তান্তর করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ।
উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকরা।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যে বড় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়ক হবে। মন্ত্রী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলেন এবং সহায়তার টাকা কীভাবে খরচ করবে তার দিক-নির্দেশনা দেন। একই সাথে তিনি বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকদের ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সাম্প্রদায়িক হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর আর্থিক ক্ষতি হয়তো আমরা কিছুটা পুষিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু তাদের হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ সে ক্ষতি আমরা কোনোদিন হয়তো পুষিয়ে দিতে পারবো না। ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আপনি-আপনারা একা নন, পুরো বাংলাদেশ আছে আপনার পাশে এ বার্তাটিই আমরা পৌঁছে দিতে চেয়েছি। গত কয়েকদিন আমরা ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করে ১০ পরিবারকে নগদ ১১ লাখ টাকা ও ঘরে রান্নার জন্যে তৈজসপত্র ও কাপড় দিয়েছি।