প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৫, ২১:০৮
নজরুল ছিলেন আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনের সাহসী প্রতিচ্ছবি .............প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী

বুধবার (২৭ আগস্ট ২০২৫) জাতীয় প্রেসক্লাব ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাষ্ট্র বিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. সুকমল বড়ুয়া, সাংবাদিক নেতা মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরী, নাট্যকার বাবুল আহমেদ, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, লেখক সাহিত্যিক কালাম ফয়েজী, আনোয়ার চৌধুরী, আলহাজ্ব হাসেম চৌধুরী, ইঞ্জি. শোয়েব কোরাইশি, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহীন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা জাতীয় কবিকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পারিনি। জাতীয় কবির অসংখ্য কবিতা থাকার পরও আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে কবির কোনো কবিতা বা গান নেই।
বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে নজরুলের কবিতা ও গান বাংলার বিপ্লবীদের উন্মাদনার সাথে উৎসাহিত করে। তারা জুলুমবাজ বৃটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে অবর্তীর্ণ হয়। তাঁর গান একইভাবে আলোড়িত করে পাকিস্তানিদের অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে। তাঁর গান বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ভীষণ উদ্দীপ্ত করে। তাঁর গানই এদেশের তরুণ প্রজন্মকে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করে। সবচেয়ে বেশি প্রেরণা কাজে লেগেছে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নজরুলের অবিনাশী গান 'কারার ঐ লৌহ কপাট, ভেঙ্গে ফেল কর রে লোপাট'। এই গান তরুণ প্রজন্ম, ছাত্র-শিক্ষক, শ্রমিকসহ সকল শ্রেণীর মানুষকে রাজপথে নিয়ে আসে। কবি নজরুল আমাদের প্রেরণা। বাংলা সাহিত্যের এই অবিসংবাদিত কবি কালজয়ী প্রেরণা হয়ে বারবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।