প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:০১
তিন দশকের জরাজীর্ণ সেতুর পরিবর্তে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ, টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন
অবশেষে ঝুঁকিপূর্ণ কাটাখালী সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মিত হচ্ছে

নির্মাণের তিন দশক পার হলেও একবারের জন্যেও সংস্কার না হওয়া ফরিদগঞ্জ উপজেলার মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কাটাখালী সেতুর স্থলে অবশেষে নতুন সেতু নির্মিত হচ্ছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, সেতুটি নতুন করে নির্মাণের জন্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসে নতুন সেতুটি যান চলাচলের জন্যে খুলে দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
|আরো খবর
স্থানীয়রা জানায়, তিন দশক পূর্বে সেই সময়কার চাহিদা মোতাবেক ডাকাতিয়া নদীর ওপর কাটাখালী সেতুটি নির্মিত হয়। কিন্তু কোনো সংস্কার না হওয়ায় এটি পুরো জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ে গেছে সেতুর পিলার, ভেঙ্গে পড়েছে পাটাতন, রেলিংয়েরও একই অবস্থা। প্রচণ্ড ঝুঁকিতে থাকা সেতুটি যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছে লোকজন ও ছোট যানবাহন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন কবির জানান, নির্মাণের পর গত ৩০ বছরে একবারও মেরামত কিংবা সংস্কার হয়নি এই সেতুটি। তারপরও বিকল্প পথ না থাকায় মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। এদিকে এই সেতুটি নিয়ে যুগান্তরসহ বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশের পর কর্তৃপক্ষ জরাজীর্ণ এই সেতুর স্থলে নতুন সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ জানায়, প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বৃহত্তর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার ডাকাতিয়া নদীর ওপর কাটাখালী বাজার হয়ে ফরিদগঞ্জ আরএইচডি-রামপুর জিসি-তে ৬৪.১০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। সব কিছু নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে আগামী ২০২৬ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমদ জানান, কাটাখালী পুরাতন সেতুর স্থানে নতুন সেতু কোন স্থানে নির্মিত হবে সে লক্ষ্যে কয়েকদিন পূর্বে প্রকল্পের পিডি সিরাজুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করে গেছেন। আমাদের ইচ্ছে ছিলো, কাটাখালী সেতুর স্থানে একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু করা। কিন্তু নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সেই উদ্যোগ থেকে সরে এসে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।
ডিসিকে/এমজেডএইচ