শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

আমাদের বিশাল জনসংখ্যাকে কর্মক্ষম হিসেবে তৈরি করতে হবে

---------জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান

আমাদের বিশাল জনসংখ্যাকে কর্মক্ষম হিসেবে তৈরি করতে হবে
স্টাফ রিপোর্টার ॥

‘জেন্ডার সমতাই শক্তি : নারী ও কন্যা শিশুর মুক্ত উচ্চারণে হোক পৃথিবীর অবারিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদপুরে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। ১০ জুলাই মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়েছে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পরিবার-পরিকল্পনা কমিউনিটি কার্যক্রমে চাঁদপুর জেলা সারা বাংলাদেশের মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। আদমশুমারি হিসেবে দেশে নারীদের সংখ্যা বেশি। বেশকিছু জেলার মধ্যে চাঁদপুর জেলাও নারীর সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশে প্রতি বর্গমাইলে জনসংখ্যা রয়েছে ১০১৫ জন। চিকিৎসা সেবা উন্নতির কারণে মানুষ এখন আর কষ্ট পাচ্ছে না।

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিশাল জনসংখ্যাকে কর্মক্ষম হিসেবে তৈরি করতে হবে। একজন নারী যদি চাকুরি নাও করে, তারা বাসায় যে কাজগুলো করেন তাদের আমরা সেই স্বীকৃতি দেই না। আমাদের যে সমাজ ব্যবস্থা, মেয়েদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। তাই সম্মানের দিকে তাকিয়ে মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেয়। বর্তমানে সবক্ষেত্রে মেয়েরা ভালো করছে। চাঁদপুরে প্রায় ২৬ লাখ জনসংখ্যা রয়েছে। এর মধ্যে ৭ লাখ বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানে রয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবার পরিকল্পনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অথচ একটা সময় আমাদের সমাজে পরিবার পরিকল্পনা অনেকটাই নিষিদ্ধ ছিলো। ও সময়টাতে এই বিষয়ে যারা কাজ করতো তাদের নানাভাবে বাধা দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমান সমাজে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন সু-স্বাস্থ্যসহ পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে আমরা সবাই অনেক সচেতন।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন আর আগের অবস্থানে নেই। দেশের সকল বিভাগে অনেক উন্নতি করেছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তনের এখন দৃশ্যমান। শুধু তাই নয়, বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই নেতৃত্ব দেয়া যতো বেশি বাড়বে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ততো বেশি সমুজ্জ্বল হবে। সেবা হলো এক প্রকার ইবাদত। তাই সেবার মানসিকতা নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ মিয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বেলায়েত হোসেন, পৌর প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, ফরিদগঞ্জ গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান পাটোয়ারী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক একেএম আমিনুল ইসলাম।

চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তন্ময় বড়ুয়ার পরিচালনায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার, পরিবার কল্যাণ সহকারী আলেমা সুলতানা, মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা মোর্শেদা আক্তার ও কল্যাণপুর ইউনিয়নেরর স্যাকমো রহিমা খানম।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করা হয়। আমরা পুরুষরা যদি কথার ধরণ পাল্টাই তা হলে নারীরা নির্ভয়ে থাকবে। দেশের জনসংখার ২২% কিশোর-কিশোরী। মাতৃ মৃত্যুর হার কমাতে হলে বাল্যবিবাহ রোধ করতে হবে। কৈশোরকলীন বিয়ে হলে তারা একলামশিয়া অর্থাৎ খিচুনী হয়ে মাতৃ মৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। ডাঃ ইলিয়াছ চাকুরি জীবনের শেষ সময়, তিনি চলে গেলে সেই স্থানটি পূরণ হবার নয়।

সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা। এ বছর পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীরা হলো : চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জনকারীরা হলেন : চাঁদপুর নতুন বাজার সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক, উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী আলেমা সুলতানা, ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোর্শেদা আক্তার, উপাদী উত্তর ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সুমন চন্দ্র সরকার, কল্যাণপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের স্যামকো রহিমা খানম, গুটি পূর্ব ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, গুপ্তি পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ এবং চাঁদপুর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। পরে অতিথিরা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার অর্জনকারীদের হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়