রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ১৯:৪৯

হরিণাঘাটে গাড়ির চেয়ে ফেরি বেশি!

মিজানুর রহমান
হরিণাঘাটে গাড়ির চেয়ে ফেরি বেশি!

চাঁদপুর-শরিয়তপুর রূটের হরিণা ফেরিঘাটে পর্যাপ্ত ফেরি থাকা সত্ত্বেও গাড়ির তেমন চাপ নেই। বর্তমানে পালাবদল করে ৭টি ফেরি চলাচল করলেও বেশির ভাগ সময়েই গাড়ির জন্যে ঘণ্টার চাইতেও বেশি সময় ফেরিগুলো অপেক্ষমান থাকছে। ২৭ জুন মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের এজিএম (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী।

সরজমিনে দেখা যায়, ঘাটে চলাচলকারী সব ফেরিই এখন কেটাইপ ফেরি। এগুলো হচ্ছে কলমীলতা, কুমারী, কাকলী, কেতকী, কিশোরী, কামিনী ও কস্তুরী। এর মধ্যে রো রো ফেরিটি ডকইয়ার্ডে থাকায় ১২টি গাড়ি পরিবহনকারী কলমিলতা চলছে। আর বাকি ফেরিগুলো সর্বোচ্চ ৮টি গাড়ি পরিবহন করছে।

বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দিনে ৭শ’ থেকে ৮শ’ গাড়ি পরিবহনের ক্ষমতা থাকলেও ১শ’ থেকে ২শ’ গাড়িও এখন ঘাটে হচ্ছে না। এর মধ্যে ঈদকে কেন্দ্র করে বড় মালবাহী ট্রাকগুলো ঈদের আগে ৩ দিন ও পরে ৩ দিন করে মোট ৬ দিন বন্ধ থাকায় ঘাটে চাপ অনেকটাই কমেছে।

তথ্যমতে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় ১৭টি বাস ও ২২৩টি মোটরসাইকেল হরিণা ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার হয়েছে। এছাড়াও গরু বহনকারী আরো ১৫টি ট্রাকও পারাপার হয়।

মোটরসাইকেল আরোহীরা বলছেন, অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেই ফেরিতে পারাপার হতে পারছেন। বিশেষ করে বড় গাড়ি না থাকায় অনেকটা দ্রুত সময়েই এ ঈদযাত্রায় ফেরি পারাপারে স্বস্তি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের এজিএম (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী বলেন, এখন আমাদের ফেরিঘাটে গাড়িকে অপেক্ষমান থাকতে হচ্ছে না। গাড়ি আসা মাত্রই ফেরি পূর্ণ হলে দ্রুত সময়ে গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। মূলত শরিয়তপুর সড়ক হতে খুবই কম গাড়ি আসছে। যা যাচ্ছে তা চাঁদপুর হয়ে হরিণাঘাট দিয়েই যাচ্ছে। এতে রাজস্বও আদায় হচ্ছে তূলনামূলক কম। তবুও ঈদে নিরাপদ ফেরি পারাপারে আমাদের ফেরিগুলো ২৪ ঘণ্টা সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর প্রভাব পড়েছে এখানে। পদ্মাসেতু যখন হয়নি তখন চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি নৌরূটে ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ ছিলো ব্যাপক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি এক দুদিন অপেক্ষা করে পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে সিরিয়াল নিয়ে মেঘনা নদীতে ফেরি পার হতো। এখন সেই দৃশ্য অনেকটাই অতীত স্মৃতি। এমন দিন যায় গাড়ির চেয়ে এখানে ফেরি বেশি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়