প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৫
লৌহজংয়ে অটো চালক হত্যার ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০
মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে মোস্তফা(১৮) নামের এক চালককে হত্যাকরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতা সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০।
|আরো খবর
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বরিশালের উজিরপুর এলাকার মৃত জয়নাল হালদারের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (২৮) ও তার দুই সহযোগী লৌহজং উপজেলার দক্ষিন মেদিনীমন্ডল এলাকার মোতালেব ফরাজী ছেলে স্বপন ফরাজী ও শ্রীনগর উপজেলার উত্তর পাকশিয়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে পাপ্পু সরদার (২৪)। এরমধ্যে মিরাজুল ঘটনার পরিকল্পনাকারী বলে জানান র্যাব।
র্যাব অধিনায়ক জানান, হত্যাকাণ্ড ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত হলে গুরুত্বের সাথে সেটি ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-১০। এর ধারবাহিকতায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূলহোতা মিরাজুল গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে মাওয়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে স্বপন ও পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে তিনজন।
আসামীদের ভাষ্য তুলে ধরে র্যাব অধিনায়ক ফরিদ উদ্দিন জানান,ঘটনারদিন ভাড়া বাসায় যাওয়ার কথা বলে মোস্তফার অটোরিকশা ভাড়া করে মিরাজ। রাত সাড়ে ৭টায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনাস্থল হলদিয়া এলাকায় পৌছালে মিরাজ মোস্তফাকে ইজিবাইক থেকে নামতে বলে। মোস্তফা ইজিবাইক থেকে নামার সাথে সাথে স্বপন মোস্তফার গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরলে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েসে । মোস্তফা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথে পাপ্পু মোস্তফার দুই পা চেপে ধরে এবং মিরাজ মোস্তফার মুখ মাটির সাথে চেপে ধরে যাতে করে মোস্তফা কোন ডাক-চিৎকার করতে না পারে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর মিরাজ, স্বপন ও পাপ্পু মিলে মোস্তফার লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ঘটনাস্থলের পাশে একটি ডোবায় ফেলে রেখে মোস্তফার ইজিবাইকটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়।
র্যাব আরো জানান, আসামী তিনজনেই অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলো। পাপ্পু ও মিরাজুলের বিরুদ্ধে এর আগেও মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজের পর গত সোমবার (২অক্টোবর) সকালে লৌহজং উপজেলার দক্ষিণ হলুদিয়া এলাকায় একটি পুকুর থেকে অটোচালক মোহাম্মদ মোস্তফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পরে নিহতের বাবা মোঃ আব্দুল হক মাদবর লৌহজং থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।