বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

খাবারেই দূর হোক দুর্বলতা
অনলাইন ডেস্ক

সারাক্ষণ দুর্বল বোধ করা, মাথাব্যথা, শরীর ঝিমঝিম করার মতো সমস্যাগুলো সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবারদাবার। এ ছাড়া নিয়মিত শরীরচর্চা শরীর ও মন সুস্থ রাখার পাশাপাশি দেয় সতেজ অনুভূতি।

মৌসুমি ফল : শরীরের দুর্বলতা কাটাতে ভিটামিন-সি খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিনে অন্তত দুই ধরনের টকজাতীয় ফল যেমন- কমলা, লেবু খেতে হবে। এ ছাড়া পেয়ারা, লেটুসপাতা, পালংশাক ও কাঁচা মরিচ খেতে পারেন।

দুধ : দুধে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। তাই সুস্থ থাকতে সবচেয়ে ভালো খাবার হলো দুধ। প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস দুধে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। দেহের দুর্বলতা দূর করার পাশাপাশি দুধের ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে। বাড়ন্ত বয়সীরা এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এক চামচ বাটার মিশিয়ে দুবেলা খেলেও উপকার পাবেন।

ডিম : ডিম হলো সুপার ফুড। এতে আছে আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন-এ, পেন্টথেনিক অ্যাসিড ও রিবোফ্লাভিন। প্রোটিন থাকে ১২.৫৬ গ্রাম ও ফ্যাট ৯.৫১ গ্রাম। এ ছাড়া ফসফরাস ১৯৮ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৩৮ মিলিগ্রাম, জিঙ্ক থাকে ১.২৯ মিলিগ্রাম। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন ও কুসুমে থাকে ভালো ফ্যাট, আয়রন ও ভিটামিন। শিশুর দৈহিক বৃদ্ধি, হাড় শক্ত করতে ও মেধার বিকাশে ডিম খুবই কার্যকর। সব বয়সীদের প্রতিদিন সকালে একটি ডিম খাওয়া উচিত।

বাদাম : কাঠবাদাম, কাজুবাদাম ও আখরোট নিয়মিত খেলে দুর্বলতা কেটে যাবে। বাদাম উচ্চ প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বিসমৃদ্ধ উৎস। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা শরীরকে সুস্থ রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। কয়েক পদের বাদামের সঙ্গে কয়েকটি কিশমিশ ও একটি ডুমুর ধুয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানিসহ পেস্ট করে খেয়ে নিন।

কলা : প্রতিদিন সকালের নাশতায় কলা রাখুন। দেহের প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম, মিনারেলস ও ফাইবার রক্তে গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখে। কলার মধ্যে আছে প্রাকৃতিক চিনি, ফ্রুকটোস, গ্লুকোজ যা খুব দ্রুতই আমাদের দেহে শক্তি জোগায়। তা ছাড়া কলায় রয়েছে দৃঢ় টিস্যু গঠনকারী উপাদান যথা আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ। কলা ক্যালরির একটি ভালো উৎস।

কোকোয়া বা চকলেট : কোকোয়া বা চকলেট পরিমিত পরিমাণে খেলে শরীর সুস্থ ও সবল থাকবে। তবে পরিপূর্ণ পুষ্টি চাইলে খেতে হবে ডার্ক চকলেট অর্থাৎ অন্তত ৭০ শতাংশ কোকোয়াসমৃদ্ধ চকলেট নির্বাচন করুন। কোকোয়া পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার ব্যাকটেরিয়া রোধ করে। এতে ভিটামিন-এ, বি-৬ ও ভিটামিন-সি থাকায় এগুলো সংক্রমণ দূর করতে কার্যকরী। এ ছাড়া এতে ভিটামিন-ডি, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, কপার ও সেলেনিয়াম থাকে। এটি সঠিক পুষ্টি উপাদানসমৃদ্ধ। তাই প্রতিদিন দুয়েক টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়া উপকারী।

চিয়া বীজ : শরীরের শক্তি জোগাতে চিয়া বীজ অনেক উপকারী। এতে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ থাকে। এটি ভেজার পর আকারে প্রায় ১০ গুণ বড় হতে পারে। তাই এটি খেলে তা অনেকক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে। চিয়া বীজ হাতের কাছে না পেলে ইসুবগুল খেতে পারেন। তুলনামূলক কম হলেও ইসুবগুলের উপকারও কম নয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়