প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩
কোষ্ঠকাঠিন্যের পাঁচ সমাধান

সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হলেই সেটাকে আর হেলা করা যায় না। যা কোষ্ঠকাঠিন্য। যারা এতে ভুগছেন তারা বেছে নিতে পারেন পাঁচটি বিশেষ খাবার। নিয়মিত এগুলো খেলে সমস্যাটি দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর পাবে পুষ্টিÑ
খেজুর
খেজুর প্রাকৃতিক আঁশে পূর্ণ একটি ফল। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, হাইপার অ্যাসিডিটি, জয়েন্টে ব্যথা, চুল পড়া বা লো এনার্জিজনিত সমস্যার সমাধান দেবে। সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানিতে দুই-তিনটি ভেজানো খেজুর খান। এটি খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে।
মেথি বীজ
এক চা চামচ মেথি বীজ সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। এ ছাড়া মেথি বীজ গুঁড়ো করে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মিশিয়ে খেতে পারেন।
ঘি
গরুর দুধের ঘি মেটাবলিজম উন্নত করে। এটি শরীরে হেলদি ফ্যাট বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন, যেমন ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে শোষণের জন্য প্রয়োজন। এক গ্লাস উষ্ণ গরুর দুধে এক চা চামচ ঘি নিয়মিত খেলে দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য দারুণ কাজ করবে। তবে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তি বা ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে আগে।
আমলকী
আমলকী শুধু ভিটামিন সিতে ভরপুর নয়, এটি বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানও দিতে পারে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে আমলকী খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্যে উপকার পাবেন। এক চা চামচ আমলকীর গুঁড়ো বা তিনটি তাজা আমলকীর রস খেতে পারেন এ ক্ষেত্রে।
কিশমিশ
কিশমিশে আছে প্রচুর ফাইবার। এটিও কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে কার্যকর। তবে ভেজানো কিশমিশ খাওয়া ভালো। শুকনো খেলে অনেকের গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা বেড়ে যায়। ভিজিয়ে রেখে খেলে কিশমিশ হজমও হয় ভালো।
হোমিও সমাধান
কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য হোমিও চিকিৎসকরা লক্ষণ বিচারে কিছু ওষুধ দিয়ে থাকেন। এ তালিকায় আছে ইৎুড়হরধ অষন, ঘীঁ াড়সরপধ, গধমহবংরধ গঁৎ, চষঁসনঁস গবঃ ইত্যাদি। তবে কোনো ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করবেন না।
এছাড়া শাকসবজি তো আছেই। এসবেও আছে পর্যাপ্ত ফাইবার, যা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করবে। বাঁধাকপি সেদ্ধ করে গাজর, শসা, ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, অলিভ অয়েল ও সামান্য লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এমনকি কিছুটা চিজও মেশানো যেতে পারে। এটিও হজম হবে দ্রুত এবং দূর করবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।