বৃহস্পতিবার, ০৮ মে, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ঢল

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ১০:০৯

ইস্ট লন্ডনে ডা. আব্দুর রহমানের স্মরণসভা

লন্ডন থেকে আজিজুল আম্বিয়া
ইস্ট লন্ডনে ডা. আব্দুর রহমানের স্মরণসভা

ইস্ট লন্ডনের দারুল উম্মাহ জামে মসজিদে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রিয় মুখ, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সমাজসেবক ডা. আব্দুর রহমানের স্মরণে এক আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ছোট ভাই ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র মোহাম্মদ শাহীদ আলী, ছেলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি সংগঠক ওয়ালিউর রহমান এবং তাঁর নাতিরা।

বক্তারা বলেন, ডা. আব্দুর রহমান ছিলেন একজন আদর্শ অভিভাবক ও পরিপূর্ণ মানুষ। তাঁর অনুপ্রেরণায় পরিবারের একাধিক সদস্য চিকিৎসা পেশায় যুক্ত হয়ে একটি ‘ডাক্তার পরিবারে’ পরিণত হয়েছে।

তারা আরো বলেন, তিনি শুধু পরিবারের জন্যে নয়, পুরো কমিউনিটির জন্যে ছিলেন একজন আলোকবর্তিকা। দারুল উম্মাহ জামে মসজিদসহ বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উদ্যোগে তাঁর নিঃস্বার্থ অবদান কমিউনিটির হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।

তাঁর ধর্মনিষ্ঠ জীবন, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং তাহাজ্জুদের অভ্যাস উপস্থিত সকলকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

দোয়া মাহফিলে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবু সাঈদ চৌধুরী, মাওলানা মওদুদ হাসান ও মাওলানা হাসান বান্না। তারা ডা. আ. রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করে জান্নাতুল ফেরদৌসের উঁচু মর্যাদা লাভের জন্যে দোয়া করেন।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার বদিরগাঁও গ্রামের সন্তান ডা. আব্দুর রহমান ১৯৭৫ সালের পর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান এবং পরবর্তীতে সুয়ানসি মেডিকেল হাসপাতালে চক্ষু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেবা, সততা ও নিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ টা ২৫ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, চার মেয়ে ও তিন ভাই রেখে গেছেন।

এই আয়োজন প্রমাণ করে, প্রবাসে থেকেও একজন মানুষ কীভাবে তাঁর সমাজ ও দেশের জন্যে ভালোবাসা রেখে যেতে পারেন। সম্মান ও কৃতজ্ঞতায় আজও তিনি স্মরণীয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়