প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ২২:০৬
চাঁদপুর শহরে বাসা-বাড়ি নির্মাণে রাস্তা দখল আর দেখতে চায় না শহরবাসী

চাঁদপুর শহরের রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজ যেনো থমকে না যায়। শহরের রাস্তার জায়গা দখল করে বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ নানা স্থাপনা নির্মাণ যেনো আর না হয়। বিগতদিনে পৌরসভার তদারকি না থাকায় এমনটি হয়েছে। ভবিষ্যতে আর এমন অনিয়ম দেখতে চায় না চাঁদপুর শহরবাসী।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের মেথা রোডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। এই সড়ক হয়ে চৌধুরীঘাট ও স্ট্র্যান্ড রোডের বড়ো বড়ো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং আড়তে মালামাল বোঝাই ভারী যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। এছাড়া স্ট্র্যান্ড রোড ও ৫নং ঘাট এলাকায় রয়েছে মেঘনা ও পদ্মা অয়েল নামে জ্বালানি তেলের দুটি ডিপো। এই ডিপো থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধ শত তেলের লরি লোড-আনলোড হয়। এই লরিগুলোও মেথা রোড হয়ে শহর থেকে বের হয়। এতোটা গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এতোটাই সঙ্কুচিত যে, দুটি গাড়ি পাশাপাশি অনায়াসে পার হতে পারে না। শুধু তাই নয়, জেএম সেনগুপ্ত রোড এবং মেথা রোডের সংযোগ এসবি খালের উপরে থাকা ব্রিজটি খুবই সরু হওয়ায় কোনো বড় গাড়ি এই ব্রিজ সহজে পার হতে পারে না। অথচ মেথা রোডটির দুই পাশের কিছু আছে অবৈধ দখলে, কিছু আছে পৌরসভা থেকে লিজ নিয়ে। রাস্তার অংশ দখল করে মেথা রোডের দুই পাশে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ব্রিজটির গোড়ায় এসবি খালের দক্ষিণ পাশ লাগোয়া তিনতলা বিশিষ্ট একটি ভবন (যেটির বর্তমানে নতুন করে পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে) থেকে যে শুরু হয়েছে রাস্তার অংশ দখল করা এবং ভবনের অংশ রাস্তায় চলে আসা! এই অবস্থা পুরো মেথা রোডজুড়ে। অথচ পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী পিচঢালা রাস্তা থেকে ৫ ফুট থেকে সাড়ে ৬ ফুট জায়গা ছেড়ে দিয়ে স্থাপনা তৈরি করতে হবে। শহরের মেথা রোডটির ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানার ধারেকাছেও কেউ নেই। প্রত্যেকটি বাসায় বাউন্ডারি দেয়াল এমনকি বাসার অংশবিশেষ রাস্তা দখল করে তোলা হয়েছে। যার কারণে রাস্তাটি খুবই সঙ্কুচিত হয়ে আছে।
মেথা রোড সংযোগ ব্রিজটির দক্ষিণ অংশ লাগোয়া যে ভবনটির নির্মাণ কাজ বর্তমানে চলছে, এখন যেনো এটি অবশ্যই পৌরসভার নিয়ম মেনে করা হয়। একই সাথে মেথা রোডটির দুই পাশে পৌরসভার রাস্তা দখল করে যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোও যেনো উচ্ছেদ করা হয়।
এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, এসবি খালের উপর মেথা রোডটির সংযোগ ব্রিজটির সাথে লাগিয়ে আরেকটা ব্রিজ করা হবে। বরাদ্দ আসলেই আমরা কাজ শুরু করবো। আর মেথা রোডের পূর্ব পাশ লাগোয়া যেসব অস্থায়ী লিজের স্থাপনা রয়েছে, সব ক'টি উচ্ছেদ করা হবে। আর রোডের পশ্চিম পাশ লাগোয়া যেসব বাসা-বাড়ি রয়েছে, সেগুলো মাপজোখ করে যদি রাস্তার অংশে পড়ে থাকে তাহলে সেসব স্থাপনাও উচ্ছেদ করা হবে।