মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

এ সময়ের রোগবালাই
অনলাইন ডেস্ক

এখন চলছে বর্ষাকাল। এ সময় প্রকৃতি সুন্দরভাবে সেজে উঠলেও, শারীরিক অসুস্থতায় আক্রান্ত হন কম-বেশি সবাই। বর্ষা মৌসুমে বেড়ে যায় অনেক রোগের প্রকোপ। যখন-তখন বৃষ্টি হওয়ার কারণে বর্ষাকালে আবহাওয়া সবসময় আর্দ্র থাকে। অতি বৃষ্টির অন্যান্য অসুবিধার সঙ্গে অনুষঙ্গ হয়ে আসে নানা রকম রোগবালাই। আর এসব রোগ-ব্যাধির সাথে রয়েছে ভাইরাস। তাই বৃষ্টি যতোই উপভোগ করুন, বর্ষায় রোগের হাত থেকে সাবধান থাকতেই হবে। আবহাওয়া আর্দ্রতার কারণে বর্ষাকালে বায়ুবাহিত, জলবাহিত এবং মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। বর্ষায় সাধারণত যেসব রোগ থেকে সাবধান থাকা উচিত।

মশাবাহিত রোগ : মশার প্রজনন মৌসুম হলো বর্ষাকাল। বিশ্বব্যাপী এ সময় ৩৪ শতাংশ এবং ম্যালেরিয়ায় ১১ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হন। এ সময় মশাবাহিত রোগ যেমন : ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ ইত্যাদি মশাবাহিত রোগ দেখা দেয়। তাই এ সময় আপনার বাড়িতে মশারি বা জাল ব্যবহার করুন। বাড়ির আশপাশে কোথাও পানি জমে থাকতে দেবেন না। সঠিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখুন এবং নিয়মিত আপনার ঘর পরিষ্কার করুন।

পানিবাহিত রোগ : বর্ষা মৌসুমে পানিবাহিত রোগের প্রকোপও অন্য সময়ের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। এছাড়া যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পানিবাহিত রোগগুলো হলো : টাইফয়েড, কলেরা, জন্ডিস, হেপাটাইটিস ‘এ’ ইত্যাদি। পানিবাহিত এসব রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

বায়ুজনিত রোগ : বর্ষায় সর্বাধিক সাধারণ ভাইরাল সংক্রমণ হলো সর্দি-কাশি। বর্ষাকালে তাপমাত্রা হঠাৎ করে উঠানামার কারণে এটি ঘটে। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে ফ্লুতে বেশির ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এর ফলে নাক দিয়ে সর্দি পড়া, গলা ব্যথা, চোখ দিয়ে পানি পড়া, জ্বর, কাশিসহ নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের রোগ যেমন : ভাইরাস ফিভার, ইনফেকশন, শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, চর্মরোগ ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম : বৃষ্টি-বাদলের মৌসুমে সুস্থ থাকতে হলে যে কোনো উপায়েই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, বিশুদ্ধ খাবার ও পানির সংস্থান থাকতে হবে।

নিরাপদ খাবার ও পানির ব্যবস্থা গ্রহণ :

* খোলা পাত্রে খাবার রাখবেন না।

* যেসব স্থানে খাবার রাখা হবে সেই স্থানে যেনো বন্যার পানির সংস্পর্শে না আসে।

* বাসি বা খোলা খাবার ফেলে দিন।

* রং বা গন্ধ পরিবর্তন হওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন।

* কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর ইত্যাদি প্রাণীর সংস্পর্শে আসতে পারে এমন সন্দেহ হলে খাবার এড়িয়ে চলুন।

* শিশুর দুধের বোতল, চুষনি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

* পানি সংরক্ষণের পাত্র ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।

* পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করুন।

* খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে পরিষ্কার পানিতে হাত ধুয়ে নিন।

* জীবাণুর বিস্তার ঘটতে পারে এমন জিনিস হাতে নেয়ার পর হাত ভালো ভাবে ধুয়ে ফেলুন।

মনে রাখতে হবে, পরিবারকে সুস্থ রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই সতর্ক এবং সচেতন হতে হবে।

ডাঃ মোঃ মাজহারুল হক : বি.এ.ডি.এইচ.এম.এস. (বি.এইচ.বি.) ঢাকা; ডি.ইউ.এম.এস. (কন্ট), এম.এইচ.জি. (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত), যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, ঢাকা।

ইসলামিয়া হোমিও হল। চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।

মোবাইল ফোন : ০১৯২২৪৯২৬২৪।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়