বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর কণ্ঠের তিরিশ বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর কণ্ঠের তিরিশ বছরের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ

১৭ জুন, ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দ; ৩ আষাঢ়, ১৪০১ বঙ্গাব্দ; ৬ মহররম, ১৪৩১ হিজরি; শুক্রবার। ট্যাবলয়েড সাইজে সাদা অফসেট কাগজে ৮ পৃষ্ঠায় পত্রিকাটি রাজধানী ঢাকার একটি অফসেট প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল-বিন-বাশারের ২৫২ বকুলতলা রোড, চাঁদপুর-এর চেম্বার থেকে প্রকাশিত হয়। চাঁদপুরে প্রথমে ছাপাখানা ছিলো শাহজালাল প্রিন্টার্স, লন্ডনঘাট, শহীদ জাবেদ সড়ক, চাঁদপুর (১৯৯৪ সালের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত) এবং পরে জিলানী প্রিন্টিং প্রেস, কলেজ গেট, চাঁদপুর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সালের নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত)। এ দুটি ছাপাখানা ছিলো সেকেলে লেটার প্রেস। এমন প্রেস বাদ দিয়ে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে চাঁদপুর সরকারি কলেজের সম্মুখস্থ হোটেল আকবরীর নিচতলায় অবস্থিত সিরাজ অফসেট প্রেস থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের আধুনিক মুদ্রণ শুরু হয়, যেটি ছিলো চাঁদপুরের কোনো সংবাদপত্রের জন্যে প্রথম পদক্ষেপ। প্রেসের অফিস কক্ষ ও সম্পাদকের চেম্বার প্রথমাবস্থায় চাঁদপুর কণ্ঠের অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হলেও ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ ১১৩নং রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে চাঁদপুর কণ্ঠের নামে পৃথক কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।

সাপ্তাহিক হিসেবে সরকারি বিজ্ঞান তালিকাভুক্তি

১৯ জুলাই, ১৯৯৫ খ্রিঃ।

দৈনিক হিসেবে অনুমোদন

১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ মধ্যরাতের পূর্বে।

দৈনিক হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ

অনুমোদনের প্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮ দিবাগত মধ্যরাতের অব্যবহিত পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৯৮ তারিখে প্রকাশিত হয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

দৈনিক হিসেবে আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ

অনুমোদন প্রাপ্তিশেষে পরীক্ষামূলক সংখ্যা প্রকাশের পর সম্পূর্ণ নিয়মিত প্রকাশনায় যেতে সময় লাগে দেড় মাস। ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৯ তারিখে ট্যাবলয়েড সাইজে নিউজপ্রিন্টে ৬০ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের। সাপ্তাহিক আমলে প্রথমে নির্বাহী সম্পাদক (১৭ জুন ১৯৯৪ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬) ও পরে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৮) হিসেবে কাজী শাহাদাত দায়িত্ব পালন করলেও ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ থেকে চাঁদপুরের ইতিহাসের প্রথম দৈনিকটির মূল কাণ্ডারী হিসেবে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। তারপর বিগত পঁচিশ বছরের অধিক সময় ধরে অদ্যাবধি একই দায়িত্ব পালন করে চলছেন।

দৈনিক হিসেবে সরকারি বিজ্ঞাপন তালিকাভুক্তি

সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ খ্রিঃ।

ট্যাবলয়েড সাইজ থেকে ব্রডশীটে যাত্রা

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগে ‘আনন্দ অফসেট প্রেস’ উদ্বোধন করা হয় ৯ জুন ২০০২ তারিখে। এই প্রেসে ডাবল ডিমাই সাইজের কাগজে ছাপা যায় এমন অফসেট মেশিন স্থাপন করা হয়। সেজন্যে চাঁদপুর কণ্ঠ প্রতিষ্ঠার শুভদিন (১৭ জুন)কে স্মরণীয় করে রাখতে নিজস্ব প্রেসে ১৭ জুন ২০০২ থেকে ব্রডশীটে (ডাবল ডিমাই সাইজে) চাঁদপুর কণ্ঠের নবযাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রায় সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাডভোকেট মোঃ ইকবাল-বিন-বাশার এবং উপদেষ্টা সম্পাদক প্রফেসর বিলকিস আজিজের ব্যাপক বিনিয়োগ ও সাহসিক উদ্যোগ স্মরণযোগ্য। চাঁদপুরের সংবাদপত্রের ইতিহাসে ট্যাবলয়েড সাইজ বাদ দিয়ে সর্বপ্রথম যে পত্রিকার ব্রডশীটে যাত্রার রেকর্ড, সেটি দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠই।

অফিস স্থানান্তর

১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ তারিখে সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠের নামে চাঁদপুর শহরের ১১৩নং রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে চালুকৃত অফিসটি ১০ মাসের মধ্যে ১ ডিসেম্বর ১৯৯৮ তারিখে গুয়াখোলা রোডের মাথায় হাবিব চেয়ারম্যানের চারতলা বিল্ডিংয়ের নিচতলায় স্থানান্তরিত হয়। এখানে ৭ বছর ৪ মাস থাকার পর ২০০৬ সালের ১ এপ্রিল চাঁদপুর প্রেসক্লাব সংলগ্ন চাঁদপুর রেড ক্রিসেন্ট ভবনের তিনতলায় স্থানান্তরিত হয় এবং ৮ বছর পর এই অফিস দোতলায়ও সম্প্রসারিত হয়। যার ফলে চাঁদপুরের সর্ববৃহৎ পত্রিকা অফিসে পরিণত হয়। এক যুগ (১২ বছর ৩ মাস) পর রেড ক্রিসেন্ট ভবন থেকে চাঁদপুর কণ্ঠ কার্যালয় চাঁদপুর শহরের স্ট্র্যান্ড রোডস্থ ভাষাসৈনিক ডাঃ এম. এ. গফুর সাহেবের বিল্ডিংয়ের দোতলায় স্থানান্তরিত হয়। তারপর থেকে প্রায় ৬ বছর অদ্যাবধি এখানেই চাঁদপুর কণ্ঠের অফিস চলছে।

সাপ্তাহিক হিসেবে চাঁদপুর কণ্ঠের বৈশিষ্ট্য

শতভাগ নিয়মিত সম্পাদকীয়, জাতীয় দিবসে ও বিশেষ দিনে সাহিত্য সাময়িকী ও বিশেষ সংখ্যা, প্রতি সংখ্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ, শিক্ষাঙ্গন পরিচিতি, ‘বললেই যত দোষ’ কলাম, কচুয়া-হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী রঘুনাথপুর বাজারে মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা বিষয়ে সরেজমিনে ধারাবাহিক প্রতিবেদন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন, লেটার প্রেসে একাধিক রঙে ছাপা, জেলায় আর্সেনিকের ভয়াবহতা নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি, পকেট টেলিফোন গাইডের ২টি সংস্করণ প্রকাশ, জেলায় সর্বপ্রথম কোনো পত্রিকায় নিজস্ব কম্পিউটার হিসেবে ‘চাঁদপুর কণ্ঠ কম্পিউটার’ সংযোজন ও পত্রিকার নামে ল্যান্ড ফোন সংযোগ।

দৈনিক হিসেবে চাঁদপুর কণ্ঠের বৈশিষ্ট্য ও ভূমিকা

শতভাগ নিয়মিত সম্পাদকীয়, ৩১ জানুয়ারি ১৯৯৯ থেকে নবীন লেখক ও পাঠকসহ সব ধরনের লেখকের জন্যে শতভাগ নিয়মিত সাপ্তাহিক পাতা ‘পাঠক ফোরাম’, অনিয়মিত ‘পাঠক কণ্ঠ’ (চিঠিপত্র বিভাগ), ‘তোতা মিয়ার তিতা কতা’ নামে এস. এম. আনওয়ারুল করীমের কলাম (১৯৯৯-২০০৫), রাশিফল (অনিয়মিত), নামাজের সময়সূচি, হেরার আলো (পবিত্র আল কোরআন), আল হাদিস, বাণী চিরন্তন, এইদিনে, কার্টুন (অনিয়মিত), শতভাগ নিয়মিত শব্দখেলা, আজকের চাঁদপুর, আজকের খেলা ও আজ-কাল-পরশু (অনিয়মিত), মেঘনার জোয়ার-ভাটা (অনিয়মিত), আবহাওয়া, গোলক-ধাঁধা বিভাগ (অনিয়মিত), ‘রোগ বিজ্ঞাসা’ (অনিয়মিত), সহযোগী দৈনিক থেকে (অনিয়মিত), ১ আগস্ট ১৯৯৯ থেকে পাক্ষিক শিশুকণ্ঠ (নিয়মিত), ৬ আগস্ট ১৯৯৯ থেকে নারীকণ্ঠ (অনিয়মিত), ২৮ নভেম্বর ২০০০ থেকে পুরো রমজান মাসে প্রতিদিন অতিরিক্ত দু পৃষ্ঠায় পবিত্র কোরআনের বঙ্গানুবাদ প্রকাশ (বাংলাদেশে প্রথম), গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও দুর্ঘটনার মূল্যায়নে মাস্টহেড নামিয়ে মাঝে মধ্যে প্রথম পৃষ্ঠা সাজানো ও তাৎক্ষণিক বুলেটিন প্রকাশ, নানা উপলক্ষে মানসম্পন্ন ক্রোড়পত্র প্রকাশ, পত্রিকার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে গুণীজনদের জীবদ্দশায় ও মরণোত্তর সম্মাননা জ্ঞাপন, শত শত কৃতী শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনমত গঠনে জরিপ ও ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ, ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর অসংখ্য প্রতিবেদন ও সাক্ষাৎকার, বিভিন্ন বিষয়ে সমস্যা, সম্ভাবনা ও অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে বিশেষ, ধারাবাহিক ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, ‘নামের মাঝে পাবে নাকো সবার পরিচয়’ শিরোনামে চাঁদপুর শহরের পাড়া-মহল্লাসহ সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানের নামকরণ সম্বলিত অসম্ভব সাড়া জাগানো ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ৩৯টি পর্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কর্মীদের ওপর অসংখ্য প্রতিবেদন, বিভিন্ন যানবাহনের সময়সূচি, চাঁদপুরে সর্বপ্রথম ইউএনবি, আবাস ইত্যাদি সংবাদ সংস্থার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ ছাপা শুরু, চাঁদপুরে ২০০২ সালের ৮-১০ মার্চ জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন আয়োজনে প্রধান মিডিয়া পার্টনারের ভূমিকা পালন, ২১ এপ্রিল ২০০২ তারিখে চাঁদপুর কমিউনিটি সেন্টারে বিশাল পরিসরে চাঁদপুরের অন্যান্য ৪টি দৈনিকের জেলাব্যাপী কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে জাতীয় মানের প্রশিক্ষকগণ এনে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজন, প্রতিটি ফুটবল ও ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সাক্ষাৎকার, অভিমত, বিশেষ লেখা প্রকাশ, ২০০২ সালের ডিসেম্বরে বিদেশে নিয়ে চাঁদপুর সরকারি কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা তহবিল গঠনে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে মুখ্য দায়িত্ব পালন, বাংলাদেশে সর্বপ্রথম চাঁদপুর শহরে চালুকৃত কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের ওপর সত্তরের অধিক ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন, মাঝে মধ্যে কাজী শাহাদাতের ভ্রমণ কাহিনির বিশদ বিবরণ সম্বলিত ধারাবাহিক বহু সচিত্র প্রতিবেদন, কবরস্থান, শ্মশান, মসজিদের ওপর ধারাবাহিক প্রতিবেদন, ২৪ মে ২০০৬ থেকে নিয়মিত পাক্ষিক সাহিত্যপাতা, ২৯ মে ২০০৬ থেকে পাক্ষিক/মাসিক ‘সংস্কৃতি অঙ্গন’, ১ জুন ২০০৬ থেকে নিয়মিত পাক্ষিক ও বিশেষ ইসলামীকণ্ঠ, ৪ জুন ২০০৬ থেকে পাক্ষিক চিকিৎসাঙ্গন, একই দিন থেকে শুরু করে ‘বলুন, কেমন করে বলি’ শিরোনামে মিনি সাক্ষাৎকার সিরিজের ১৯৭টি পর্ব, ৫ জুন ২০০৬ থেকে পাক্ষিক শিক্ষাঙ্গন, ৩ জুলাই ২০০৬ থেকে পাক্ষিক ক্রীড়াকণ্ঠ নিয়মিত প্রকাশ, বারবার বিভিন্ন স্থান ও ব্যক্তি নিয়ে সাড়া জাগানো ধারাবাহিক বিশেষ প্রতিবেদন, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের নূতন ভবন নির্মাণে তহবিল গঠনের বিজ্ঞাপন অসংখ্য বার বিনামূল্যে ছেপে প্রাতিষ্ঠানিক সদস্য পদ লাভ, হাজীগঞ্জের অলিপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা খলির সর্দারের চিকিৎসা ও তাঁর পরিবারের পুনর্বাসনে এবং কোড়ালিয়ার বাসিন্দা কণ্ঠশিল্পী অসীমা সাহার চিকিৎসা তহবিল গঠনে মুখ্য ভূমিকা পালন, ৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে ‘মোবাইল কণ্ঠ’ (অনিয়মিত), ১৭ জুন ২০০৭ থেকে অনলাইন সংস্করণ চালু, ২০০৮ সালে চাঁদপুর সুইমিং পুলের নাম বিশ্বখ্যাত সাঁতারু অরুন নন্দীর নামে নামকরণে নিরাপস ভূমিকা পালন, চাঁদপুর বড়স্টেশন মোলহেডকে পর্যটন কেন্দ্র এবং চাঁদপুরে মেডিকেল কলেজ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখি, ২০০৯ সাল থেকে তথ্যকণ্ঠ (অনিয়মিত), বাজার কড়চা (ঈদ-বাজার সম্পর্কিত), ‘নির্বাচনী কড়চা’ (জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত), ‘টেকনোলজী টুডে’ পাতা (অনিয়মিত), পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক নামে জেলাব্যাপী ধারাবাহিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজন, পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্কের মুখপত্র হিসেবে ‘বিতর্কায়ন’ (যা বাংলাদেশে বিরল) পাতা, জেলাব্যাপী বিতর্ক আন্দোলন সৃষ্টিতে চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক ফাউন্ডেশন গঠন, জাতীয় বিতর্ক উৎসবে পৃষ্ঠপোষকতা, ঢাকা-চাঁদপুর দূরপাল্লার সাঁতার ও অবিরাম সাঁতার আয়োজন ও চাঁদপুর সাঁতার পরিষদ গঠনে মুখ্য ভূমিকা, ‘সোজা-সাপটা’ (৩৮৩টি), সরলে-গরলে’ (১০৪টি) শিরোনামে মেগা সাক্ষাৎকার সিরিজ, দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম চাঁদপুরে চতুরঙ্গের ইলিশ উৎসব আয়োজনে প্রধান মিডিয়া পার্টনার ও সর্বোচ্চ কাভারেজ, একই সময়ে ‘চিরঞ্জীব ’৭১’ নামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চিত্র প্রদর্শনীতে অনুরূপ ভূমিকা, ১১ মার্চ ২০১০ থেকে কচি-কাঁচার কণ্ঠ নামে পাতা চালু (অনিয়মিত), ২০১১ সালে চাঁদপুর জেলার সাধারণ ইতিহাসের খসড়া ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ, ৩ নভেম্বর ২০১১ থেকে প্রবাসীকণ্ঠ, ১০ জুন ২০১২ থেকে ‘চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস’ নামে বিশেষ পাতা (চার বছর পর অনিয়মিত), ৭ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে ‘প্রযুক্তি কণ্ঠ’ (অনিয়মিত), ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ থেকে মাসিক ‘কৃষিকণ্ঠ’, ২০১৬ সালের ৩০ জুন চাঁদপুরে সর্বপ্রথম ঈদ ম্যাগাজিন প্রকাশ, ২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা চাঁদপুর নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি, ধারাবাহিক প্রতিবেদন, নিষ্ক্রিয় সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুরকে সক্রিয় করতে মুখ্য ভূমিকা, ইউপি ও পৌর নির্বাচন নিয়ে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন রকম প্রতিবেদন, ২০১৮ সালের ৫ জুলাই পাক্ষিক ‘সুচিন্তা’ পাতা প্রকাশ, দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম চাঁদপুরে বিতর্ক একাডেমী নামে প্রতিষ্ঠান গড়ায় প্রধান ভূমিকা, শিক্ষাঙ্গনের সাফল্য-সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে ৮৬টি পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদন, ২০২৩ থেকে মাসিক তথ্য-প্রযুক্তি কণ্ঠ প্রকাশ, ‘মৃত্যুর পর যাদের খবর রাখার সময় হয় না অনেকের’ শিরোনামে ১৪টি সিরিজ প্রতিবেদন, ‘আমণ্ডজনতা’ শিরোনামে ভিন্ন স্বাদের সিরিজ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রবাসীদের প্রায় নব্বইটি সাক্ষাৎকার এবং সেসব সাক্ষাৎকার থেকে বাছাই করে ‘প্রবাসী ভাবনা’ নামের বই প্রকাশ, পাঠক ফোরাম ও শিশুকণ্ঠের বিভিন্ন সংখ্যাপূর্তিতে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান, নৌবিহার ও বনভোজন আয়োজন, ইচলী, পুরাণবাজারের শিল্পাঞ্চল ও বিসিক শিল্পনগরী নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন, ‘ওল্ড ইজ গোল্ড’, ‘স্মৃতির জানালা খুলে’, ‘হারানো দিনের কথা’ শিরোনামে ব্যতিক্রম প্রতিবেদন, ‘বিজয় মেলা যাদের শ্রমে ঘামে’ শিরোনামে ২৭টি পর্ব, স্ট্র্যান্ড রোডের সমৃদ্ধি নিয়ে ৪০টি পর্ব, চাঁদপুর সরকারি কলেজের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে (১৭ জানুয়ারি-২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) কলেজের প্রাক্তন কৃতী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে ২৮টি সাক্ষাৎকার প্রকাশসহ বহু বৈচিত্র্যপূর্ণ সংবাদ ও প্রতিবেদন প্রকাশ।

উল্লেখ্য, সাপ্তাহিকের সাড়ে চার বছর ও দৈনিকের সাড়ে পঁচিশ বছরের ফাইলে সংরক্ষিত প্রতিটি পত্রিকা পর্যবেক্ষণ করে প্রতীয়মান হয়েছে যে, বিগত ত্রিশ বছরে চাঁদপুর কণ্ঠে দীর্ঘ সময় ধরে সর্বাধিক সংখ্যকবার লিখেছেন দুজন লেখক, যাঁরা আজ প্রয়াত, তাঁরা হচ্ছেন : আলহাজ্ব মোঃ আবদুল হক মোল্লা (এককালের তুখোড় ফুটবল খেলোয়াড় ও অবসরপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার) ও প্রকৌশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী)। আর ২০১১ সাল থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত গত ১৩ বছরে সর্বাধিক সংখ্যকবার লিখেছেন তিনজন লেখক, তাঁরা হচ্ছেন : সব্যসাচী লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, দেশখ্যাত প্রবীণ বিশেষজ্ঞ হাসান আলী এবং লব্ধ-প্রতিষ্ঠ লেখক-গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান।

প্রতিবেদন রচনা : কাজী শাহাদাত। সহযোগিতায় : সোহাঈদ খান জিয়া।

সম্পাদনায় সহযোগিতা : আলআমিন হোসাইন, মোস্তফা কামাল সুজন ও কাজী আজিজুল হাকিম নাহিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়