মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৯ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৩৫

ভাগ্যকুল চেয়ারম্যানের গ্রেফতার: অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা!

প্রতিবেদন: মো. জাকির হোসেন
ভাগ্যকুল চেয়ারম্যানের গ্রেফতার: অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা!
ছবি : প্রতীকী
ভাগ্যকুল ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতার

ভাগ্যকুল ইউপি চেয়ারম্যানের গ্রেফতার: অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেও রাজনৈতিক প্রতিশোধ?

মো. জাকির হোসেন
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা বিএনপি

নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়েও নিরাপদ নন

কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। কামারগাঁও ইউনিয়নের জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তবুও, ২১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়—যা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রশ্ন তোলে।

অন্তর্বর্তী সরকার কি পুরনো স্টাইলে প্রশাসন চালাচ্ছে?

২০২৪ সালে শেখ হাসিনার পতনের পর দেশজুড়ে যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়, তার নেতৃত্বে থাকা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

কিন্তু বাস্তবে আজও মাঠপর্যায়ে সেই দমনমূলক প্রশাসনিক মডেলই কার্যকর রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

রাজনৈতিক পরিচয়ই এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ?

কাজী মনোয়ার হোসেন শাহাদাৎ একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি হলেও, বর্তমানে তিনি কার্যত কোনো সক্রিয় রাজনৈতিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

তবুও তার গ্রেফতার—স্থানীয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, শত্রুতা ও প্রশাসনিক চক্রান্তের ইঙ্গিত বহন করে।

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত: প্রশাসনিক নিরপেক্ষতা

দেশের জনগণ বর্তমানে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে।

এই অবস্থায় জনপ্রতিনিধিকে এভাবে আটক করা হলে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং আগামী নির্বাচন নিয়েও শঙ্কা দেখা দেয়।

আইনের শাসন নাকি প্রশাসনিক প্রতিহিংসা?

জনপ্রতিনিধিকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি, জোরালো প্রমাণ এবং স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

তা না হলে, অন্তর্বর্তী সরকারও জনগণের আস্থার বাইরে চলে যাবে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সাবেক সরকারের ছায়া কি এখনও বিস্তৃত?

শেখ হাসিনার পতনের পরও যদি পুরনো রীতি ও রাজনৈতিক দমননীতি বহাল থাকে, তবে জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামের সার্থকতা কোথায়?

দেশের মানুষ চায় একটি মানবিক ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন, যেখানে দলীয় পরিচয় নয়—ন্যায়বিচারই হবে মূল ভিত্তি।

উপসংহার: এই গ্রেফতার অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক বার্তা দেয়

এই গ্রেফতার শুধু একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে ঘিরে নয়—এটি একটি বার্তা, যে

যদি প্রশাসন পুরনো অভ্যাস না ছাড়ে, তবে নতুন সরকারও হারাবে গণআস্থার ভিত্তি।

আমাদের দরকার একটি প্রশাসনিক সংস্কার যেখানে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও জনপ্রতিনিধিত্বের মর্যাদা থাকবে অক্ষুণ্ন।

– মো. জাকির হোসেন
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, চাঁদপুর জেলা বিএনপি

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়