রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০

নিজের কাছেই নিজে বিস্ময়ের পাত্র

কাজী শাহাদাত
নিজের কাছেই নিজে বিস্ময়ের পাত্র

ঊনিশশ’ আশির দশকের শুরুতে চাঁদপুর সরকারি কলেজে বিশাল আকারের মাসিক দেয়াল পত্রিকা ‘ফুল’ নিয়ে আলোড়ন তুলতে পারায় সহোদর বড়ো ভাই-বোনরা আর্থিক অনুদান (চাঁদা) দিয়ে রাতারাতি আমাকে মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘নির্ভীক’-এর সম্পাদক বানিয়ে ফেললেন। ডাকযোগে সারাদেশে এ পত্রিকার গ্রাহক সৃষ্টিতে আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করলেন ডাক বিভাগের তৎকালীন কর্মচারী (পরবর্তীতে কর্মকর্তা), আমার পরমশ্রদ্ধেয় বড়োভাই কাজী এবিএম তাহেরুল ইসলাম। কিন্তু ‘নির্ভীক’ নামে সরকারি অনুমোদন (ডিক্লারেশন) না পাওয়ায় সাহিত্যের ছাত্র মেঝোভাই কাজী রফিকুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ কবিতা স্মরণ করে নূতন নাম দিলেন ‘নির্ঝর’। এ নামেই জুটলো ডিক্লারেশন। তারপর তো রমরমা অবস্থা। রাজধানী ও চট্টগ্রাম ছাড়া বাংলাদেশের কোনো জেলা শহর থেকে ‘নির্ঝরে’র ন্যায় মানসম্পন্ন নিয়মিত সাহিত্য পত্রিকা আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। মহকুমা শহর চাঁদপুরের চেয়ে জেলা শহর কুমিল্লার ছাপাখানাগুলো উন্নতমানের। সে কারণে তৎকালীন বৃহত্তর কুমিল্লার সবচে’ বিখ্যাত ছাপাখানা ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসে’ নিয়ে যাওয়া হলো ‘নির্ঝর’কে। ভালো ছাপায় ভালোই চলছিলো অনেক কিছু। কিন্তু বিনিয়োগ ফেরত না আসায় একসময় আর্থিক সঙ্কটের মুখোমুখি হয় ‘নির্ঝর’। এতে স্বপ্নভঙ্গ হলো আমার।

পদবিহীন কাজ করতে লাগলাম চাঁদপুরের সাপ্তাহিক ‘রক্তিম আভা’য়। সরকারের রোষানলে পড়ে পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হয়ে গেলো। এ সময় প্রকাশ করলাম সংবাদপত্রের আদলে ট্যাবলয়েড সাইজে চার পৃষ্ঠার সাহিত্য পত্রিকা ‘বিকাশ’। কিন্তু জেলা প্রশাসক দিলেন না অনুমোদন। ‘বিকাশে’র নিবেদিতপ্রাণ কর্মী জিলানী রিপনের জেদে তাঁর বড়োভাই দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিক জাকারিয়া মিলন (ক্রাইম রিপোর্টার, দৈনিক ইত্তেফাক) স্বল্পসময়ে প্রকাশ করলেন ‘সাপ্তাহিক চাঁদপুর’। ঢাকায় ছাপা হতে লাগলো এ পত্রিকাটি। চাঁদপুরে এটির কাণ্ডারী হিসেবে নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন রিপনের মেঝোভাই ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি গোলাম কিবরিয়া জীবন। রিপনের প্রণোদনায় ক’মাস পর আমি ‘নির্ঝর’ ও ‘বিকাশে’র পর্ব সম্পূর্ণ চুকিয়ে যোগদান করলাম সাপ্তাহিক চাঁদপুরে। তবে কোনো পদে নয়। সম্পাদনা, রিপোর্টিং, ঢাকা থেকে পত্রিকা ছাপিয়ে আনা ও সার্কুলেশনের সবটুকুন কাজই করতাম। প্রতি সপ্তাহে ঢাকা যাওয়ার সুবাদে তৎকালীন দেশের সেরা পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যালয়ে গিয়েছি বারবার এবং ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পেয়েছি সাপ্তাহিক চাঁদপুরের সম্পাদক জাকারিয়া মিলন এবং ইত্তেফাকে কর্মরত তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী দেশের আরেক প্রথিতযশা সাংবাদিক (একুশে পদকপ্রাপ্ত) নাজিম উদ্দীন মোস্তানের। তাঁরা দুজনে দিল খুলে আমাকে হাতেকলমে শিখিয়েছেন সাংবাদিকতা ও সম্পাদনা। বিশেষ করে মোস্তান ভাই শিখিয়েছেন প্রুফ রিডিং এবং সাংবাদিকতায় বস্তুনিষ্ঠতা ও নৈতিকতা রক্ষার বিষয়টি।

সাপ্তাহিক চাঁদপুরের নির্বাহী সম্পাদক জীবন ভাইয়ের মন জয় করতে আমার সময় লেগেছে মাত্র ক’মাস। তাঁর ছোটভাই রিপন ও শ্রদ্ধেয় বাবা আব্দুল জব্বার, বিশেষ করে ‘মিতু ভাবী’র জোর সমর্থনে পদবিহীন অবস্থা থেকে আমার রাজসিক উত্তরণ ঘটলো। আমি হয়ে গেলাম সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক। সময়টা ১৯৮৬ সাল।

১৯৮১ সালে কুমিল্লা জেলা শহর থেকে রুহুল আমিন সাঈদীর সম্পাদনায় প্রকাশিত সাপ্তাহিক রঙধনুতে হাজীগঞ্জের বলাখাল সংবাদদাতা হিসেবে আমার যে সাংবাদিকতা শুরু হয়েছিলো, সেটা বড়োভাইয়ের তাগিদে অনেকটা নেশায়। এই নেশার কাছে আমার বাবা ও মেঝোভাইসহ অন্যরা হার মেনে গেলেন। কারণ, আমাকে নিয়ে তাদের দেখা স্বপ্ন ও আশৈশব লালিত আমার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন থেকে সরে এসে কেবলই সাংবাদিকতায় বুঁদ হয়ে গেলাম। পরিণতিতে পাঁচ বছরের ব্যবধানে আমি মাসিক বেতনে সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত হয়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেয়ার ঝুঁকিতে জড়িয়ে গেলাম। সেই ঝুঁকিতে মাঝে মধ্যে কতো কিছুই না উঁকি দিয়েছে। সেগুলোকে তোয়াক্কা না করে অদ্যাবধি সাংবাদিকতাতেই থেকে গেলাম।

সাপ্তাহিক চাঁদপুরে আমার কর্মকাল আট বছর চলাকালে আমি এই পত্রিকায় কর্মরত আমার অনুজপ্রতিম সহকর্মী মির্জা জাকির (পরবর্তীতে সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠের বার্তা সম্পাদক)-এর সনির্বন্ধ অনুরোধে ১৯৯৪ সালের শুরু থেকে চাঁদপুর কণ্ঠের পদযাত্রায় শামিল হই। ১৯ কিলোমিটার দূরবর্তী বলাখালের গ্রামের বাড়ি থেকে ট্রেনে ও বাসে চেপে চাঁদপুর আসতাম এবং হোটেল তাজমহলে রাত্রিযাপন কিংবা সাময়িক অবস্থান করে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম সংখ্যার কাজসহ অন্যান্য কাজ করতাম। ১৭ জুন ১৯৯৪ তারিখে আমাকে নির্বাহী সম্পাদক রেখে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম সংখ্যা প্রকাশের পর এটির প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের পক্ষ থেকে দেয়া কাজের স্বাধীনতা ও পরিবেশ আমাকে ক্রমশ মুগ্ধ করতে লাগলো। বস্তুত এ কারণেই ১৯৯৬ সালে সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক ও সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়ে আমি পুরোপুরি চাঁদপুর কণ্ঠেই মনোযোগী হলাম। ফলস্বরূপ ২ বছর ৩ মাস ১০ দিনের মাথায় পত্রিকা সম্পাদনায় পুরোপুরি স্বাধীনতা ভোগ, বিশেষ করে বস্তুনিষ্ঠতাসহ নিখুঁত নিরপেক্ষতা রক্ষার স্বার্থে আমাকে সম্পূর্ণ সস্তুষ্টচিত্তে সম্পাদক ইকবাল-বিন-বাশার অধিষ্ঠিত করলেন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে। এই পদে থেকে সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠকে আমি আমার সুযোগ্য কিছু সহকর্মীসহ শুধু চাঁদপুর নয়, বৃহত্তর কুমিল্লার মধ্যে জনপ্রিয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় পরিণত করতে সক্ষম হই। যোগদানের ক্রমানুসারে এদের নাম আমাকে নিতেই হবে। এরা হচ্ছেন : গাজী মোঃ শাহজাহান, মোঃ মোবারক হোসেন, এম.এম.এ. বাতেন, মোঃ রোকনুজ্জামান রোকন, এম. এ. রাজ্জাক, শাহ মোঃ সেলিম, আলম পলাশ, গিয়াসউদ্দিন মিলন, মহিউদ্দিন সরকার প্রমুখ।

সাপ্তাহিক চাঁদপুরের ক্রমবর্ধমান পাঠক চাহিদা মেটাতে ১৯৯৭ সালের ৬ ডিসেম্বর পত্রিকাটিকে জিলানী প্রিন্টিং প্রেসের মতো সেকেলে লেটার প্রেস থেকে নিকটবর্তী অত্যাধুনিক সিরাজ অফসেট প্রেসে ছাপানোর জন্যে নিয়ে যাওয়া হলো। যেটি ছিলো চাঁদপুরের প্রথম কোনো পত্রিকার আধুনিক মুদ্রণে যাওয়ার সাহসী পদক্ষেপ। দু মাসের মধ্যে (১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮) সম্পূর্ণ পৃথক অফিস নেয়া হলো চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের ১১৩নং কক্ষে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ল্যান্ড (টিএন্ডটি) টেলিফোনের সংযোগ নেয়া হলো। ৬ মাসের মধ্যে (২৭ আগস্ট ১৯৯৮) চাঁদপুর কণ্ঠ কার্যালয়ে সম্পাদকের সহধর্মিণী প্রফেসর বিলকিস আজিজের সহযোগিতায় কম্পিউটার সংযোজন করা হলো। তিন মাস পর (১ ডিসেম্বর ১৯৯৮) রেলওয়ে হকার্স মার্কেটস্থ চাঁদপুর কণ্ঠের এক কক্ষবিশিষ্ট কার্যালয়টি স্থানান্তর করা হলো চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় শপথ চত্বরে গুয়াখোলা রোডের মাথায় অবস্থিত হাবিব চেয়ারম্যানের চারতলা বিল্ডিংয়ের চার কক্ষবিশিষ্ট নিচতলায়। সম্পাদকের অপরিসীম আগ্রহে ১৪ দিনের মাথায় (১৪ ডিসেম্বর ১৯৯৮ রাতে) চাঁদপুর কণ্ঠ ‘দৈনিকে’ উন্নীত হওয়ার সরকারি অনুমোদন পেলো এবং ২৪ ঘণ্টা পর ১৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮ দিবাগত মধ্যরাতের অব্যবহিত ব্যবধানে অর্থাৎ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে দৈনিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলো।

আমি ঢাকা থেকে প্রকাশিত সপ্তাহের ডায়েরিতে কলাম লিখতাম এবং দৈনিক জনতায় জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতাম। সম্পাদক অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার চাঁদপুরের প্রথম দৈনিক হিসেবে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রকাশনা যাতে কোনোভাবে ব্যাহত না হয় এবং পত্রিকাটি যাতে কোনোরূপ হোঁচট না খায় সেজন্যে আমার সাথে সহকর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন। আলোচনা শেষে সবার সম্মতিতে বললেন, অন্য সকল পত্রিকার সাথে ন্যূনতম সংশ্লেষ রাখা যাবে না এই শর্তে আপনাকে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক করা হলো। আমি সানন্দে সম্মতি দেয়ায় ১৯৯৯ সালের ৩১ জানুয়ারি প্রকাশিত ৬০ পৃষ্ঠা সম্বলিত দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আনুষ্ঠানিক সংখ্যা থেকে প্রধান সম্পাদক পদে আমার অধিষ্ঠান নিশ্চিত করা হলো। আর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে রাখা হলো সাপ্তাহিকের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ শাহ মোঃ ওবায়েদুল্যাকে।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে প্রধান সম্পাদক পদে আমার পঁচিশ বছরপূর্তি (রজতজয়ন্তী) হয়েছে চলতি ২০২৪ সালেই, যে বছরের ১৭ জুন চাঁদপুর কণ্ঠের তিন দশক তথা বিরামহীন তিরিশ বছরপূর্তির মাইলফলক অর্জিত হবে। এমন অর্জন চাঁদপুরে আর কারো নেই। আমি এজন্যে অপরিসীম আনন্দিত ও অসম্ভব পুলকিত। মহান স্রষ্টার কাছে মাথা নত করে প্রায়শই দু হাত তুলে বলি- আল্লাহ তুমি এতোটা সৌভাগ্য আমায় দিলে!

চাঁদপুর কণ্ঠের বিরামহীন পথচলার তিরিশ বছরের ইতিহাস লিখতে অন্তত ৩০ দিন সময় প্রয়োজন। সেই সময়টুকু না নিয়ে আমি বলতে চাই, চাঁদপুর কণ্ঠকে আমি আমার স্ত্রী-সন্তানের চেয়েও বেশি ভালোবেসে যতোটুকু কাজ করেছি (অকাল প্রয়াত অধ্যাপক কবি জাকির হোসেন মজুমদার যে কাজকে বলতেন ‘দানবীয়’) সেটা আমার আর্থিক প্রতিষ্ঠার জন্যে নয়, প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক আমার পরমশ্রদ্ধেয় অগ্রজপ্রতিম আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার কর্তৃক আমার ওপর আরোপিত বিশ্বাস-আস্থা রক্ষার প্রয়োজনে। আত্মশ্লাঘা হলেও বলি, এই চাঁদপুর কণ্ঠে কর্মরত আমার অনেক প্রিয় সহকর্মী একের পর এক আমাকে ছেড়ে যাওয়ার পর আমি বুকে যে কষ্ট ধারণ করে সেটাকে হজম করে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি, ঈর্ষার হীন রূপ দেখে ধৈর্য ধরেছি, সেই পারঙ্গমতা চাঁদপুরে কি সংবাদপত্র জগতের অন্য আর কেউ তাদের ক্ষেত্রে দেখাতে পেরেছে? শুধু এই বিষয়টি ভাবলেই নিজের কাছে নিজে বারবার বিস্ময়ের পাত্র হয়ে যাই।

আমার অনুজপ্রতিম অনেকেই নিজেকে সাংবাদিক অমুক বলে পরিচয় দিলেও আমি আমার সাংবাদিকতা জীবনে সরাসরি সাক্ষাতে কিংবা ফোনে কাউকে ‘সাংবাদিক কাজী শাহাদাত’ বলে পরিচয় দিইনি বা দিই না। কারণ, সাংবাদিকতা শেখার অনেক ঘাটতিই আমার মধ্যে এখনো রয়ে গেছে। তবুও সাংবাদিকতার জন্যে, সাহিত্যচর্চার জন্যে, সৃজনশীল সংগঠক হওয়ার জন্যে চাঁদপুরে ও চাঁদপুরের বাইরে, এমনকি ছোটভাবে জাতীয় পর্যায়ে আমার যথেষ্ট মূল্যায়ন হয়েছে, যাতে আমার তৃপ্তির শেষ নেই। বরং নিজেকে নিয়ে নিজের বিস্ময় রয়েই গেলো। তাই একান্ত অবসরে বিড় বিড় করে বলি- কেউ ভুল মূল্যায়ন করলো না তো?

লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; সাবেক সভাপতি : চাঁদপুর প্রেসক্লাব (২ বার), চাঁদপুর রোটারী ক্লাব, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), চাঁদপুর (৪ চার); মহাপরিচালক, সাহিত্য একাডেমী, চাঁদপুর (সাড়ে ৯ বছর)।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়