প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
‘বড়োভাই’ বলে তিনি করছেন যে কাজটি-
মন আর মন দিয়ে ভালোবাসা। এর মধ্যে থাকতে পারে কোনো অভিমান কিংবা আদেশ-উপদেশ। এর জন্যে আমি অপেক্ষা করি একটি ফোনের। কখন আসবে সেই ফোন। তার জন্যে অপেক্ষায় থাকি ২৪ ঘন্টাই। আমার মোবাইল ফোনে সেই কাঙ্ক্ষিত ফোন নাম্বারটির কল আসলেই মনে হয় আমি কিছু শিখছি। শেখার কোনো শেষ নেই। আমাকে শিখতে শিখতে জীবনে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত যেতে হবে।
নতুন সংযোজন হয়েছে ‘বড়োভাই’। ফোন আসলেই ‘বড়োভাই’ শব্দটা কানে বাজে। ‘বড়োভাই’ মানে বয়সে বড় নয়, আদর করে ভালোবেসে ডাকা একটি শব্দ। সবার জীবনেই কিছু আবেগময় ভালোবাসার গল্প থাকে। ভালোবাসা মানুষকে প্রাণবন্ত এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। ভালোবাসা একজন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে অনেক দূর। ‘বড়োভাই’ বলে তিনি হয়তোবা সেই কাজটি করছেন।
এবার আসা যাক আমার অপেক্ষায় থাকা সে ফোনটি কার? যে ফোন আসলেই মনে হয় আমি কিছু শিখছি। ‘বড়োভাই’ শব্দটা কানে বাজে। সে ফোনটি হলো দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাইয়ের। তিনি আমার আদর্শ। সাংবাদিকতা ধরে রাখার প্রেরণা। সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে আজও আমাকে শিখিয়ে যাচ্ছেন। আমি শিখতে চাই। আমার যে শিখার অনেক বাকি।
১৯৯১ সালে যখন আমি কুমিল্লা সরকারি কলেজে পড়ি তখন দৈনিক রূপসী বাংলা পত্রিকার মাধ্যমে আমার লেখালেখি শুরু। সাপ্তাহিক চাঁদপুর কণ্ঠে কাজী শাহাদাত ভাইয়ের মাধ্যমে শুরু হয় আমার সাংবাদিকতার জীবন। আজও আছি চাঁদপুর কণ্ঠে এবং থাকবো। আমাকে যে শিখতে হবে। অপেক্ষা থাকতে হবে সে ফোনটির।
এলিজাবেথ বাওয়েন তাঁর বাণীতে বলেছেন, যখন আপনি কাউকে ভালোবাসেন, তখন আপনার জমিয়ে রাখা সব ইচ্ছেগুলো বেরিয়ে আসতে থাকে। ঠিক আমার বেলায় কাজী শাহাদাত ভাই তা-ই ভাবছেন, ভালোবেসে বিভিন্ন নামে সম্বোধন করছেন।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) প্রেসক্লাব; ব্যুরো ইনচার্জ (মতলব উত্তর), দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।