শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৫, ১৩:২২

শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা : ফারুক-ই-আজম

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল গেজেট প্রকাশের পর পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা

মো. জাকির হোসেন
শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা : ফারুক-ই-আজম
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুজিবনগর সরকারের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। বুধবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান সকলে মুক্তিযোদ্ধা। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে।

ফারুক-ই-আজম আরও বলেন, মুজিবনগর সরকারে যারা ছিলেন, তারা সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সশস্ত্র যোদ্ধা হোক বা নেতৃত্বদানকারী— উভয়ই মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুজিবনগর সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কর্মী, কূটনীতিক ও বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তিরাও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা। তাদের ‘সহযোগী’ বলার অর্থ এই নয় যে, তাদের সম্মান হ্রাস করা হয়েছে। বরং তারা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবদান রেখেছেন।

এ সময় ফারুক-ই-আজম বলেন, নতুনভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা নির্ধারণ করে তা জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত অধ্যাদেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে যে সংজ্ঞা ছিল, সেটিই বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ ও ২০২২ সালে আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিষয়টি আরও সুস্পষ্ট করা হয়।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা— উভয়ের সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা সমান থাকবে। কোনোভাবে কারও প্রতি বৈষম্য করা হবে না। জাতিগতভাবে মুক্তিযুদ্ধ না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের চেয়ে গৌরবজনক অধ্যায় আর কিছু নেই।

মঙ্গলবার (৩ জুন) রাত ১১টার দিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা, শ্রেণিবিভাগ, এবং বিভিন্ন সুবিধা ও মর্যাদা সংক্রান্ত বিষয়াদি উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য গঠিত হয় মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে জাতীয় চার নেতা ওই সরকারের দায়িত্বে ছিলেন। তারা মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক পরিকল্পনা, আন্তর্জাতিক সমর্থন, যুদ্ধ পরিচালনা এবং অভ্যন্তরীণ সংগঠন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাই তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ইতিহাস ও বাস্তবতার সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়