প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৫, ০০:০২
শাহরাস্তি পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে বাধা হচ্ছে দখলদাররা

বর্ষা মৌসুমে শাহরাস্তি পৌরবাসীর দুর্ভোগের প্রধান কারণ জলাবদ্ধতা। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এ সমস্যার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিগত সময়ে দায়িত্বে থাকা কোনো পৌর অভিভাবক। বরং পৌর কর্তৃপক্ষের নমনীয়তায় দখল করা হয়েছে বেশ ক'টি খাল। কিছু কিছু সময় জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিলেও আলোর মুখ দেখেনি। কোনো প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নির্মাণ করা হয়েছে বহু স্থাপনা। বর্তমানে সেসব স্থাপনা গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের বেশিরভাগ এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পৌর এলাকার পানি নিষ্কাশনের খালগুলোর বিভিন্ন জায়গায় মাটি দিয়ে ভরাট ও বাড়ি নির্মাণ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বিশেষ করে মেহের খোদা খাল, কালিয়াপাড়া থেকে মেহের খাল দুটির বিভিন্ন জায়গায় দখল ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ঐ এলাকায় বসবাসরত পৌরবাসী। জনগণের দুর্ভোগের অতিরিক্ত অভিযোগ পাওয়ার পর জলাবদ্ধতা নিরসনে শক্ত হাতে নেমেছে বর্তমান পৌর প্রশাসন।
শাহরাস্তি পৌর প্রশাসক নিগার সুলতানা খালগুলো দখলমুক্ত ও নির্বিঘ্নে পানি নিষ্কাশনের জন্যে নিজেই মাঠে নেমেছেন। ইতোমধ্যে তিনি মেহের খোদা খালের বর্জ্য অপসারণ করেছেন। বর্তমানে তিনি কালিয়াপাড়া, শাহরাস্তি গেইট, মেহের স্টেশন এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্যে খাল দখলমুক্ত করতে শুরু করেছেন। বিভিন্ন ব্যবসায়ীর দখলে থাকা খালের ওপরে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার জায়গাগুলো অবমুক্ত করছেন। বেশ কিছুদিন ধরে চলতে থাকা বৃষ্টির কারণে জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে বলে জানানো হয়।
কালিয়াপাড়া বাজারে ব্যবসায়ীদের অনিয়ন্ত্রিত কালভার্ট নির্মাণ করার ফলে ইতোমধ্যেই নায়নগর, দেবীপুর, তারাপুর, বানিয়াচোঁ, ঘুঘুশাল, সুয়াপাড়া, কালিয়াপাড়া ও কাঁকৈরতলা এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মেহের উত্তর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম রনি দাবি করেন, পানি প্রবাহের একমাত্র পথটিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় বেশ ক'টি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। তিনি শক্ত হাতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত থেকে পানি প্রবাহের জায়গাটি অবমুক্তের দাবি জানান।
শাহরাস্তি পৌর প্রশাসক নিগার সুলতানা জানান, আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এ জন্যে এলাকাবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা দরকার।








